কিশোরগঞ্জ জেলার গ্রামাঞ্চলে এককালে সকল শ্রেণির মানুষের মুখে মুখে শিলুক বা ধাঁধা প্রচলন ছিল। বিশেষ করে মহিলারা শিলুক বলায় পারদর্শী ছিলেন। তারা কথায় কথায় এককালে শিলুক বলতে পারতেন। এ যুগে এখন আর খুব একটা শিলুক উচ্চারিত হতে দেখা যায় না। সে এক সময় গেছে যখন গ্রামের বাড়ির দাদা-দাদী, নানা-নানী, মা-চাচীরা বাড়ির ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে শ্লোকের […]Read More
একজন লোকের কাজ ছিল জাল ফেলে পাখি ধরা, সেই পাখি বাজারে বিক্রি করা। তার ছিল একটি ছেলে। লোকটি যখন মারা যায় তখন ছেলের জন্যে তার জালটা ছাড়া আর কিছুই সে রেখে যেতে পারেনি। ছেলেটি বাবার কাছে পাখি-ধরা শিখেছিল। রোজকার মতো সেদিনও সে জাল নিয়ে পাখি ধরতে বেরিয়েছে। যেতে যেতে, একসময় শেষ পর্যন্ত খুব ঘন বনে […]Read More
অনেকদিন আগেকার কথা। এক দেশে ছিলেন এক বাদশা। বাদশার রাজ্য বেশ বড়। তবু সে-রাজ্য চালাবার মতন যথেষ্ট বুদ্ধিও তার ছিল। তাই রাজত্ব চলত ভালোভাবে। যে সময়ের যা কাজ, যে সময়ে যা করবার, সব ঠিক ঠিক হত। বাদশা নিজের কাজ যেমন করতেন, অন্যদের দিয়েও কাজ করিয়ে নিতেন। | বাদশার ছিল একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। সেই […]Read More
এক ছিল শিকারি। দুর্দান্ত সাহস তার। অসীম মনোবল। খুব বুদ্ধিমান। বাবা তার মারা গিয়েছিলেন ছোটবেলায়। তারপর একা একাই সেই শিকারি বড় হয়ে ওঠে। বনে বনে ঘুরে বেড়ায়। বাঘ সিংহ শিকার করে, নীল-নয়না হরিণ ধরে আনে। সেই শিকারির নাম ছড়িয়ে পড়ল গ্রাম থেকে গ্রামে। একদিন রাজার কানেও গেল তার কথা। রাজা তাকে ডেকে পাঠালেন রাজপ্রাসাদে। বললেন, […]Read More
সে অনেক দিন আগের কথা। তখন খলিফা হারুন অর রশিদের রাজত্ব।…খলিফার এক চমৎকার খেয়াল ছিল। তিনি মাঝে মাঝে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন নিজের রাজ্যে, কেউ তাকে চিনতে পারত না। অথচ তিনি প্রজাদের অবস্থা সব নিজের চোখে দেখতেন। বুঝতে পারতেন, কার কী অভাব-অভিযোগ। কে কষ্ট পাচ্ছে, আর কে অন্যের ওপর অত্যাচার করছে,—এইসব ঘুরে দেখে তিনি দরবারে বসে […]Read More