অতি লোভের ফল – রুপকথার গল্প । আত্মপ্রকাশ

সে অনেক দিন আগের কথা।

তখন খলিফা হারুন অর রশিদের রাজত্ব।…খলিফার এক চমৎকার খেয়াল ছিল। তিনি মাঝে মাঝে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন নিজের রাজ্যে, কেউ তাকে চিনতে পারত না। অথচ তিনি প্রজাদের অবস্থা সব নিজের চোখে দেখতেন। বুঝতে পারতেন, কার কী অভাব-অভিযোগ। কে কষ্ট পাচ্ছে, আর কে অন্যের ওপর অত্যাচার করছে,—এইসব ঘুরে দেখে তিনি দরবারে বসে তার প্রতিকার করতেন। লোকে পেত ন্যায়বিচার।।

সেদিনও খলিফা হারুনঅল রশিদ ছদ্মবেশে বেরিয়েছেন। ঘুরছেন বাগদাদ নগরের পথে পথে। সঙ্গে আছেন উজির। কিন্তু তাকেও তখন দেখে উজির বলে চেনবার উপায় নেই।

খানিকক্ষণ বেড়াবার পর তাইগ্রিস নদীর সেই পাথরের সঁকো পার হলেন তারা। তারপর দেখলেন, পথের পাশে এক বুড়ো বসে ভিক্ষা করছে। কাছে যেতে বুঝতে পারলেন যে লোকটি অন্ধ। | দেখে খলিফার মনে দয়া হল। তিনি তার হাতে দিলেন একটি মোহর।।

অমনি সেই অন্ধ লোকটি তার হাত ধরে বলল, আপনার অশেষ করুণ । আপনাকে সুখী করুন। কিন্তু দয়া করে আমায় যখন দান করলেন, তখন একটি অনুরোধ আপনাকে রাখতে হবে।

অতি-লোভের-ফল-রুপকথার-গল্প-greed-fairytale-story-atttoprokash
খলিফা হারুন অর রশীদের অন্ধ ভিক্ষুককে মোহর দানের দৃশ্য

হারুন অর রশিদ ভাবলেন, বুড়ো বেচারি বোধহয় বুঝতে পারেনি যে তাকে মোহর দেওয়া হয়েছে। অন্ধ মানুষ তো! কিন্তু তিনি মোহর দেবার কথা না জানিয়ে বললেন, ‘তা বেশ তো কী তোমার অনুরোধ, বলো।

তখন বুড়ো বলল, “আমার গালে একটি চড় মারতে হবে। আমার গালে চড় কষালে তবে আমি দান নিই। যিনি আমাকে মারেন না, তার কাছে আমি কিছু নিই না। তাই বলছি, দান যখন করেছেন, তখন অন্তত একবার আমায় চড় কষিয়ে যান।

খলিফা তার কথা শুনে যেমন আশ্চর্য, তেমনি কৌতূহলী হলেন। এ তো ভারি মজার ব্যাপার। লোকটা নিজেকে মার খাওয়াতে চায় কেন?

এমন অদ্ভুত কথা কখনো শোনা যায়? কেউ তাকে চড়ালে তবে সে তার দান নেয় ! এ অনুরোধ রক্ষা করতে হারুন অল রশিদ প্রথমে রাজি হলেন না।

বললেন, ‘না হে, তোমায় আমি শুধু শুধু মারতে পারব না। বিনা দোষে তোমাকে চড় মারলে আমার অন্যায় হবে। তোমাকে কিছু দান করে যে পুণ্য কাজ করব, অকারণে মারলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। | শুনে অন্ধ বলল, ‘আমাকে মারলে ঠিক কাজই করা হবে। কারণ আমি জীবনে অনেক পাপ করেছি। আর সেই সব পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি, সকলের হাতে মার খেয়ে। আল্লাহর নামে শপথ করেছিলুম যে কারও কাছে মার না খেয়ে আমি ভিক্ষা নেব না। এখন আপনার যা খুশি তাই করুন। যদি আমায় চড় না মারেন, তাহলে আপনার এই দান ফিরিয়ে নিন। কারণ, আল্লাহর নামে যে শপথ করেছি, প্রাণ থাকতে তার অন্যথা করতে পারব না।

হারুনঅল রশিদ তখন আর কী করেন ! মোহর দান করে তো আর ফিরিয়ে নিতে পারেন না। তাহলে গরিব বেচারার ক্ষতি করাই হয়। তাই নিতান্ত অনিচ্ছার সঙ্গে বুড়োর গালে খুব আস্তে একটি চড় মারলেন। তখন মোহরটি ঝুলির মধ্যে পুরল সে।

খলিফা তারপর সেখান থেকে চলে গেলেন। যেতে যেতে রাস্তায় উজিরকে বললেন, “দেখ জাফর, লোকটির এই অদ্ভুত ব্যবহার দেখে আমি বড় আশ্চর্য হয়েছি। অন্ধের ওরকম করবার নিশ্চয় কোনো গোপন কারণ আছে। আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে কারণটা জানতে। কাল তুমি লোকটিকে দরবারে এনে হাজির করবে। আমি সব কথা শুনতে চাই তার নিজের মুখ থেকে।

উজির বললেন, ‘জাহাপনা, কাল প্রথমেই একে হুজুরের কাছে হাজির করব।

সেদিনকার মতন ছদ্মবেশে ভ্রমণ শেষ করে হারুনঅল রশিদ তার আল-” ফিরে গেলেন।

পরের দিন দরবার বসেছে। খলিফা বসে আছেন তার রত্নসিংহাসনে। এমন সৎ উজির হাজির করলেন সেই অন্ধ লোকটিকে তার সামনে।

হারুনঅল রশিদ তাকে দেখে বললেন, “তোমার সব কথা শুনব বলে তোমাকে এখানে আনিয়েছি। তুমি কী এমন পাপ করেছিলে, যার জন্যে আল্লাহর কাছে অমন অদ্ভুত শপথ করেছ, নিজের ইচ্ছেয় নিজে এমন করে চড় খাচ্ছ?”

অতি-লোভের-ফল-রুপকথার-গল্প-আত্মপ্রকাশ-greed-fairytale-story-attoprokash-min
খলিফা হারুন অর রশীদের সামনে নিজের অতি লোভের ফল বর্ণনা করছে অন্ধ ভিক্ষুক

তখন সেই বুড়ো তাকে সেলাম করে তার জীবনের কথা বলতে আরম্ভ করল। ‘ধর্মাবতার, এই গোলামের নাম আবদালা। এখন আমার এই হাল হয়েছে বটে। কিন্তু আগে আমার অবস্থা ছিল অন্যরকম। আমার বাবা খুব বড় সওদাগর ছিলেন। আর খুব সম্ভ্রান্ত লোক বলে তার সুনামও ছিল।

তার মৃত্যুর পর আমি ঠিক করলাম যে কুঁড়ের মতন বসে বসে দিন কাটাব না। আমিও সওদাগরি করব, যেমন করতেন আমার বাবা। এই ভেবে, হাতের সব টাকা খরচ করে চল্লিশটা উট কিনে ফেললাম।।

কিছুদিন পরে আমি গেলাম বসরায়; আমার উদ্দেশ্য ছিল, সেখান থেকে শস্য কেনা।

বসরায় যাবার পথে একদিন এক সরাইখানায় গেছি। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেরে বিশ্রাম করছি, এমন সময় এক ফকির সেখানে এলেন। তার ব্যবহার বড় সুন্দর।

ফকিরের সঙ্গে সেখানে আমার আলাপ-পরিচয় হল। আমরা দুজনে কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলাম—যেন কতকালের চেনা, কত আপনার লোক! সত্যিই ফকিরের মন যেমন সরল, তেমনি তার দয়া। খানিকক্ষণ কথাবার্তার পর তিনি আমায় বললেন, ‘ভাই, তোমাকে একটা গোপন কথা বলি, শোনো, আমি জ্যোতিষবিদ্যা জানি। এখানে আসবার পর আমি গণনা করে একটা ভারি আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছি। এখানে কাছেই একটা জায়গায় গুপ্তধন আছে। সোনানা ছাড়া আর কিছু সেখানে নেই। আমি সেখানে যাব ঠিক করেছি। কাউকে এ কথা বলিনি। কারণ কে কীরকম লোক বলা তো যায় না। তোমাকে বড় ভালো মনে হল, তাই বললাম। আমি সেখানে গুপ্তধন আনতে এখুনি যাব। কিন্তু আমি নিজে তো বেশি বয়ে আনতে পারব না। তাই তোমায় সঙ্গে নিতে চাই। আমার বড় ইচ্ছে, তুমি সেই গুপ্তধনের ভাগ নাও। তোমার তো চল্লিশটা উট আছে। তুমিও আমার সঙ্গে চলো চল্লিশটা উট নিয়ে। আমি তোমাকে সেই গুপ্তধনের জায়গা দেখিয়ে দেব। আর যা যা করলে সেই সব মোহর পাবে, তা-ও বাতলে দেব। তারপর তোমার উটেদের পিঠে মোহর বোঝাই করে তুমি নিয়ে আসবে শহরে। তখন আমি কুড়িটি মোহর-বোঝাই উট তোমার কাছ থেকে নেব। বাকি অর্ধেক তোমার থাকবে। কেমন, এতে তুমি রাজি আছ তো?”



আমি আনন্দে ফকিরকে জড়িয়ে ধরে বললাম, বেশ, আমি রাজি। এন আমি আর ফকির সেই সরাই থেকে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের সঙ্গে রইল সেই চল্লিশটা উট।

চলতে চলতে কত বিশাল প্রান্তর আমরা পার হলাম। তারপর এসে পড়লাম একটা পাহাড়িয়া জায়গায়। খানিক পরে আমি আর ফকির একটি পাহাড়ের কাছে এসে দাড়ালাম। সেই ফকির তখন হাত নেড়ে গোটাকতক মন্ত্র উচ্চারণ করে কী সব বললেন।

অমনি দেখি সেখানকার মাটি আমাদের চোখের সামনে ফাক হয়ে গেল। আর আমাদের পায়ের নিচে বেরিয়ে পড়ল একটি সুড়ঙ্গ।।

আমি আর ফকির সেই সুড়ঙ্গ দিয়ে নিচে নেমে গেলাম। গিয়ে দেখি, চারদিকে কেবল মোহর আর মোহর। যত পারলাম সেই মোহরের রাশি উঠিয়ে ওপরে আনলাম। এমনি করে চল্লিশটা উট বোঝাই করলাম মোহরে। এর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ করলাম, আমি যখন সুড়ঙ্গের মধ্যে মোহর তুলতে ব্যস্ত, সেই সময় হঠাৎ দেখি ফকির সুড়ঙ্গ থেকে একটা কৌটো নিজের আলখাল্লার মধ্যে রেখে দিলেন বেশ যত্ন করে। মনে হল, নিশ্চয় সেটাও কোনো গুপ্তধন। ফকির যখন আমাকে দেখালেন না, তখন আমারও কিছু জিজ্ঞেস করা উচিত নয়। | যাই হোক, উটগুলো মোহর-বোঝাই করে আমি ফকিরের উপদেশমতন সেই দুর্গম পথ পার হয়ে আবার শহরে ফিরে এলাম। | একসঙ্গে এত সোনা নিয়ে আসবার সময়েই আমার মন অনেকটা বদলে গেল। আমি ভাবলাম, কুড়িটা উট ফকিরকে না দিয়ে, দশটা দিই। তাহলে এই ত্রিশটা উট-বোঝাই মোহরে আমি একজন বাদশা বনে যাব।

তাই লোভে পড়ে তাকে বললাম, “দেখুন ফকির সাহেব, কুড়িটা উট আপনাকে দেব বলে আমি কথা দিয়েছিলাম। এখানে আমি তা দিতে অস্বীকার করছি না, কিন্তু আপনি একা মানুষ। এত সোনা নিয়ে একলা গেলে আপনার অনেকরকম বিপদ হতে পারে। তা ছাড়া আপনি ফকির মানুষ। আপনার এত সোনার দরকারই-বা কী? ফকির সাহেব আমার কথা শুনে বোধহয় আমার মনের ভাব বুঝতে পারলেন। একটু হেসে বললেন, ‘বেশ, তাই হবে। আমি দশটা উটই নেব।

এই বলে তিনি দশটা বোঝাই-করা উট নিয়ে চললেন। তাকে যেতে দেখে আমার আরো লোভ হল। ভাবলাম, দশটা উটই-বা কেন দেব ? সবটা আমি পেয়ে গেলে, আরো তো ভালো হয়। ও যদি ভালো কথায় না দেয়, জোর করে কেড়ে নেব।

তখন আমি চিৎকার করে ফকিরকে ডাকতে লাগলাম। তিনি আমার ডাক শুনে দাড়ালেন। আমি তার সামনে গিয়ে বললাম, “দেখুন আপনি অন্যসময় এসে আবার যত খুশি মোহর নিতে পারেন। এখানকার মন্ত্র তো আপনার জানা। এবারে আমাকে সবগুলো উটই দিয়ে দিন।

ফকির এবারও আমার কথা শুনে হেসে আমায় বাকি দশটা উট দিয়ে দিলেন, আর বললেন, ‘কেমন, ভাই, এবার তো তুমি সন্তুষ্ট?  কিন্তু তখন আমার ঘাড়ে যেন শয়তান ভর করেছিল। আমার লোভ এতেও মিটল না। সেই কৌটোটার কথা মনে পড়ে গেল আমার।

আমি নির্লজ্জের মতন তাকে বললাম, আপনি সুড়ঙ্গ থেকে যে কৌটোটা নিয়েছেন, সেটাও আমাকে দিতে হবে। সেই কৌটোর মধ্যে নিশ্চয়ই দামি কিছু আছে। না হলে আপনি তা নিয়ে অমন যত্ন করে আলখাল্লার মধ্যে রাখতেন না।

আমার কথা শুনে ফকির আবার একটুখানি হেসে সেই কৌটোটিও আমায় দিয়ে দিলেন। আমি তার ঢাকনিটা খুলে দেখলাম, তার মধ্যে তেলের মতন কী রয়েছে। মণিমুক্তো কিছু নেই। ফকিরকে তখন জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি সাধারণ তেল, না এর কোনো গুণ আছে ?

তিনি বললেন, এই তেল যদি তোমার বাঁ চোখে লাগাও তাহলে জগতের যেখানে যত গুপ্তধন আছে সব চোখের সামনে দেখতে পাবে। কিন্তু এই তেল ডান চোখে লাগলে তখনই অন্ধ হয়ে যাবে।

ফকিরের কথা শুনে আমার বিষম কৌতূহল হল। আমি তখনি তাকে অনুরোধ করলাম সেই তেল আমার চোখে লাগিয়ে দিতে। তিনি আমায় চোখ বুজতে বললেন; তারপর আমার বা চোখে দিলেন সেই তেল। সঙ্গে সঙ্গে আমি দেখতে পেলাম, পৃথিবীর কত জায়গায় কত রাশি রাশি গুপ্তধন রয়েছে।

তখন দুষ্টু বুদ্ধি মনে একেবারে চেপে বসেছে। আমি মনে করলাম, ফকির বোধহয় এবার আমার সঙ্গে প্রবঞ্চনা করছে। বাঁ চোখে তেল দিলে যখন সমস্ত গুপ্তধন দেখা যায়, তখন ডান চোখে দিলে নিশ্চয়ই সেসব গুপ্তধন হাতের মুঠোয় এসে যাবে। অন্ধ হওয়ার কথাটা শুধু আমায় ভয় দেখাবার জন্যে বলা হয়েছে।



এই ভেবে আমি ফকিরকে বললাম, আমি এমন বোকা নই যে, মোমার ওই বাজে কথায় বিশ্বাস করব। তুমি আমায় অন্ধ হবার মিথ্যে ভয় দেখিয়ে, জগতের গুপ্তধন নিতে দেবে না মনে করেছ? দাও আমার ডান চোখে তেল। তাতে আমার যা হয় হবে।

আমার এই কথা শুনে ফকিরের এবার বেশ রাগ হল, বুঝতে পারলাম। তিনি আর কোনো কথা না বলে বিরক্ত-মুখে সেই ভয়ানক তেল দিয়ে দিলেন আমার ডান চোখে। তৎক্ষণাৎ আমি হয়ে গেলাম অন্ধ।

ফকির সাহেব তখন আমায় বললেন, ‘হতভাগা, তোর মতন লোভী এ-জগতে কিনা আমি জানি না, তাই এত ঐশ্বর্য হাতে পেয়েও তুই নষ্ট করলি। এখন তোকে দিন কাটাতে হবে ভিক্ষে করে। এই তোর অতি লোভের ফল।”

এই বলে ফকির মোহর-বোঝাই সেই চল্লিশটা উট আর সেই কৌটো নিয়ে চলে , আর আমি সেখানে একলা বসে বসে কাঁদতে লাগলাম। অন্ধ হয়ে গেছি, এক পা-ও আর একা চলতে পারলাম না তখন। কোথায় যাব, কী করব, কিছু করতে না পেরে এলাম বাগদাদে।

সেই থেকে ভিক্ষে করে আমি কোনোরকমে বেঁচে আছি। আমার পাপের পায়শ্চিত্ত করবার জন্যে প্রতিজ্ঞা করেছি যে, যদি কেউ আমায় মারে তবেই তার দান আমি নেব, নইলে না। | মালিক ! এখন আমার ইতিহাস তো সব শুনলেন। হুজুর! আমি দারুণ লোভের বশে এমনি করে নিজের সর্বনাশ করেছি। | তার সব কথা শুনে খলিফা বললেন, তোমার লোভের সাজা যথেষ্ট পেয়েছ। আর প্রায়শ্চিত্তের দরকার নেই। আজ থেকে তোমার সব কষ্টের অবসান হল জানবে। আমি তোমার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব দরবার থেকে। আর তোমাকে রাস্তায় বসে ভিক্ষে করতে হবে না।

অতি লোভের ফল রুপকথার গল্পটি আমিরুল ইসলাম সম্পাদিত ‘তুরস্কের রুপকথা’ গল্পবই হতে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই শিক্ষামুলক রুপকথার গল্পটিকে শিক্ষা হিসেবে নিয়ে আমরা অতিরিক্ত লোভ করা থেকে বিরত থাকবো এবং খলিফা হারুনুর রশীদের মত মানুষকে ভালবাসবো। সেই আশাই ব্যক্ত করছি।

 

বক্সে বন্দী বাকসো

http://enlightentricks.com

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *