আধ্যাত্মিকতা, সমাজ এবং জীবন দর্শন নিয়ে রুমির উক্তি সমূহ । বদলে যাবে জীবন আদর্শ

সারা বিশ্বব্যাপী, ব্যাপকভাবে বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত পারস্যের কবি মাওলানা জালালউদ্দিন মুহাম্মদ রুমিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি হিসেবে ধরা হয়। তার লিখাকে বেষ্ট সেলিং পয়েন্ট বলা হয়। দেশ, জাতি, কালের সীমনা ছাড়িয়ে মরমী কবি রুমি তার আধ্যাতিকতার মাধ্যমে প্রতিটি পাঠক হৃদয়কে চাপিয়ে গিয়েছেন। রুমির লেখা মসনবী কাব্যগ্রন্থকে ফারসি ভাষায় লেখা সর্বশ্রেষ্ট কাব্যগ্রন্থের সাথে তুলনা করা হয়। ১২০৭ সালে জন্ম নেয়া এই আধ্যাত্মিক কবি ৮০০ বছরের বেশি সময় ধরে পাঠক হৃদয় স্থান দখল করে চলেছেন। সুফিবাদ, অতীন্দ্রিয়বাদ, ধর্মতত্ত্ব, আইন এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি গভীর প্রেম রুমির লেখা বিভিন্ন কবিতা এবং বানীর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়। জীবন দর্শন নিয়ে রুমির উক্তি গুলোও সমানভাবে সমাদৃত।
ইংরেজ সাহিত্যিকগন জালালউদ্দিন রুমিকে নিয়ে বিস্তর গবেষনার পর ইংরেজী সাহিত্যকে তাদের কাছে পানসে মনে হয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রিসার্চ স্কলার এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত সামির আসাফ তার ‘The Poet of the Poets’ নিবন্ধে লিখেছেন-

‘গভীরতার মানদণ্ডে রুমির তুলনায় শেক্সপিয়রের মান হচ্ছে মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ।’

পশ্চিমা সাহিত্যিকদের মান প্রসেঙ্গ তিনি আরো লিখেছেন –

‘পাশ্চাত্যের গ্যাটে, চসার ও ইমারসন পর্যন্ত রুমির প্রভাব প্রতিপত্তি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই, রুমির সমকক্ষ­ যেমন গাজ্জালি, গালিব, জামি, সাদি, জিবরান, এমনকি কাজমি, দেহলভি বা জাউকের সাহিত্যকর্মের তুলনায় পশ্চিমা সাহিত্য বলতে গেলে হাস্যকর পর্যায়ের অগভীর।’

মাওলানা জালালউদ্দিন মুহাম্মদ রুমি প্রেমের মধ্যে মুক্তি দেখেছেন এবং মানুষে মানুষে প্রেম, মানুষ-সৃষ্টিকর্তার প্রেম নিয়ে অনেক উক্তি করে গিয়েছেন। পাশাপাশি সৃষ্টিকর্তা, অতীন্দিয়বাদ এবং সুফিবাদ নিয়ে করা রুমির বানী গুলো আজো জ্বলজ্বল করছে মসনবিতে। এই পোষ্টে আমরা আধ্যাত্মিকতা, সমাজ এবং জীবন দর্শন নিয়ে রুমির উক্তি গুলো পড়তে ও জানতে পারবো। যা হয়ত আমাদের জীবন চলার পথে অনুসঙ্গী হয়ে থাকবে, বদলে দিবে জীবন আদর্শ।




আধ্যাত্মিকতা, সমাজ এবং জীবন দর্শন নিয়ে রুমির উক্তি সমূহ । বদলে যেতে পারে জীবন আদর্শ

মাওলানা জালালউদ্দিন মুহাম্মদ রুমির আধ্যাত্মিক কাব্য মসনবী শরীফকে ফার্সি ভাষার কোরআন বলা হয়। ভারতবর্ষের মুসলিম কবি ইকবাল, রবীন্দ্রনাথ সহ বাংলাদেশের মরমী কবি লালন, কবি নজরুল ও রুমির মসনবীর প্রভাব থেকে বাহিরে ছিলেন না। আধ্যাত্মিক সাধক, কবি জালালউদ্দিন রুমি ফার্সির পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষায় সমান দক্ষ ছিলেন। তিনি তার কবিতায় মধ্যযুগীয় তুর্কি শব্দ ব্যবহার করেছেন অনেকে জায়গায়। পাশাপাশি রুমি আরবি ভাষায় ২০০ টির বেশি গজল লিখেছেন। সুফিবাদ, অতীন্দ্রিয়বাদ, সৃষ্টিকর্তা এবং মানুষের প্রতি প্রেম, আধ্যাত্মিকতা, সমাজ, জীবন দর্শন নিয়ে রুমির উক্তি আজো মানুষকে আলোর পথ দেখায়।

আধ্যাত্মিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla-min
আধ্যাত্মিকতা ও জীবন দর্শন নিয়ে রুমির উক্তি

 

“তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।”

 

“যখন তুমি চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকবে, তখন ধৈর্য্য ধরবে। ধৈর্য্যের চাবি সুখের দরজা খুলে দেয়।”

 

“আমাদের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে। এটা যখন দুটো বিপরীতমুখী বাসনার উপলব্ধি প্রকাশ করে তখন তা শক্তিশালী হতে থাকে।”

 

“শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেন তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।”

 

“প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটা নিদির্ষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেই কাজটি তার হৃদয়ে গ্রন্থিত আছে এবং প্রতিটি মানুষ ভেতর থেকে ঠিক সেই কাজটি করার জন্যই তাড়না অনুভব করে।”



“কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।”

 

“আমাদের চারদিকে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। সাধারণত একে বুঝতে একটি বাগানে হাঁটার প্রয়োজন অনুভব করি আমরা।”

 

“যখন নিজের মূল্য নির্ধারণের দিনটি আসবে তখন আপনার পরিচয় ফুটিয়ে তোলাটাই বিজ্ঞানের নির্যাস।”

 

“শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান। যদি সবকিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাখতে পারেন, বেদনা আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে।”

 

“যত বেশি নীরব হবে, তত বেশি শুনতে পাবে!!!”

 

“ কন্ঠকে নয়, শব্দকে ধরে তোলো | মনে রেখো- ঝড় নয়, বৃষ্টিতেই ফুল বেড়ে ওঠে। ”

 

“জম্ম হয়েছে তোমার পাখা নিয়ে। উড়ার ক্ষমতা তোমার আছে তারপরেও খোঁড়া হয়ে আছো কেন!”

 

আধ্যাত্মিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla3
আধ্যাত্মিকতা ও জীবন দর্শন নিয়ে রুমির বানী

 

“ভোরের মৃদু হাওয়া তোমাকে পরশ ভুলিয়ে কিছু বলে যায়, শোনার চেষ্টা করো সে কি বলতে চায় তোমাকে। দেখো আবার ঘুমিয়ে পড়োনা!”

 

“যদি আলো থাকে তোমার হৃদয়ে তাহলে ঘরে ফেরার পথ তুমি অবশ্যই খুঁজে পাবে।”

 

“তুমি এখনও জানোনা! হ্যা, এটা তোমার আলোই, তোমার আলোই এই জগতকে আলোকিত করে।”

 

“মোমবাতি হওয়া সহজ কোন কাজ নয়। আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়।”

 

“বৃক্ষের মতো হও, আর মৃতপাতাগুলো ঝরে পড়তে দাও।”

 

“মানব কায়া অচিন্ত্য আত্মার যন্ত্রস্বরুপ।”

 

“মৌনতায়” তোমার আত্মার স্বকীয় “গোলাপকুঞ্জ” উন্মোচিত কর।”

 

“যে মুহূর্তে তুমি তোমার উপর পতিত সকল বাধা বিপত্তিকে স্বীকার করে নিবে, তখন থেকেই গুপ্তদ্বার তোমার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে!”

 

“কৃতজ্ঞতাকে আলখাল্লা রূপে পরিধান কর; আর সেটাই তোমার জীবনকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে তুলবে।”

 

“এমন একটি আওয়াজ আছে, যা শব্দহীন। শুনে দেখো।”

 

“নতুন পথে যাত্রার প্রারম্ভে এমন কারো উপদেশ গ্রহণ করোনা, যে কোনদিন ঘরের বাইরে পদার্পণ করেনি।”

 

আধ্যাত্মিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla৪
আধ্যাত্মিকতা ও জীবন দর্শন নিয়ে রুমির বানী

 

“প্রত্যেক বৃক্ষপত্র অদৃশ্য জগতের বার্তা বহন করে। চেয়ে দেখো, প্রত্যেক ঝরা পাতায় কল্যাণ রয়েছে।”

 

“ব্যথার উপশম ব্যথার মধ্যেই নিহিত রয়েছে!”

 

“তোমাকে ঘিরে থাকা কালো মেঘ থেকে নিস্কৃতি লাভ করো! এরপর দেখবে তোমার নিজের আলো পূর্ণিমার চাঁদের মতই উজ্জ্বল!”

 

“পিছু ফিরে তাকিয়ো না, আগামীকে ভয় পেওনা;
যদি তুমি অতীত কিংবা ভবিষ্যতে বাস করো, তবে তুমি এই মুহুর্ত যাপনে ব্যর্থ হবে।”



“হে আত্মা! কখনো আশাহত হয়ো না!! কেননা অলৌকিকতা অদৃশ্যে বসবাস করে!”

 

“তোমার কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানোর কোন দরকার নাই,নিজের ভিতরে ভ্রমন করো ,মনের মনি-মুক্তর কোঠায় প্রবেশ করো এবং নিজের আত্মার স্বর্গীয় আলোতে স্নান করো!”

 

“তোমার জীবনে যেই আসুক না কেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ হও! কারন অন্তরালে থেকে খোদা প্রত্যেককেই তোমার জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন।”

 

“তুমি কি এখনও এ ব্যাপারে অবগত নও? এতো তোমারই আলো,যা দ্বারা সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড প্রজ্জ্বলিত হয়।”

 

আধ্যাত্মিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla৫
আধ্যাত্মিকতা ও জীবন দর্শন নিয়ে রুমি উক্তি

 

“গতকাল আমি চতুর ছিলাম। তাই, আমি পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী। তাই, নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।”

 

“দিপ্তীমান মোমবাতির মত হওয়া মোটেও সহজ নয়! অন্যকে আলোকিত করতে চাইলে সর্বপ্রথম নিজেকে আগুনে পুড়ে শুদ্ধ হতে হয়।”

 

“সম্মুখে উপস্থিতি ছাড়া কোন প্রার্থনাই পরিপূর্ণ নয়!!!”

 

“বহিঃশত্রুকে মেরেছি আমরা হে মহতীগণ
ভেতরে রয়ে গেছে শত্রু আরেক তারচেয়ে ভীষণ!!
জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়ে যায় না কো তাকে মারা
অদৃশ্য সিংহ কি খরগোশের ফাঁদে দেয় ধরা!
সে-তো আত্মা!দোযখ,যেন এক বিশাল অজগর
শত সমুদ্রের জল খেয়েও সে তৃষ্ণার্ত কলেবর।”

 

“আমার মধ্যে যে সৌন্দর্য দেখতে পাও তা প্রকৃতপক্ষে তোমারই প্রতিফলন!”

 

“প্রত্যেক হৃদয়েরই একটি জানালা আছে। তুমি তোমার নিজের হৃদয়ের জানালা দিয়ে অন্যেরটাও দেখতে পাবে!!”

 

“প্রকৃতপক্ষে আমার আর তোমার আত্মা একই ,তুমি আমার মাঝে আছো আর আমি তোমার মাঝে,আমরা একজন আরেকজনের মাঝে পরস্পর লুকিয়ে আছি!!”

 

“একাকী বোধ করো না, কারন সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড তোমার ভিতরেই বিদ্যমান।।”

 

“এই হচ্ছে পথ…এবং তোমার একার। অন্যেরা হয়ত তোমার সঙ্গে হাঁটবে। কিন্তু কেউই তোমার জন্য হাঁটবে না।”

 

“প্রদীপগুলো আলাদা, কিন্তু আলো একই।”

 

“শোনো! নিজের মুখ বন্ধ করো আর নীরব অবস্থান কর ঠিক যেমন বন্ধ থাকে ঝিনুকের আবরণ। কারণ, তোমার জিহ্বা হল তোমার আত্মার দুশমন,হে বন্ধু।যখন তোমার ওষ্ঠ থাকে নিশ্চুপ, তখন হৃদয় সহস্র জিহ্বায় সরব হয়।”

 

আধ্যাত্মিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla6-আত্মপ্রকাশ
আধ্যাত্মিকতা ও জীবন দর্শন নিয়ে রুমি উক্তি

 

“অন্যের দোষ লুকাতে-
রাতের মত হও।”

 

“সুন্দর ও উত্তম দিন তোমার কাছে আসবেনা; বরং তোমারই এমন দিনের প্রতি অগ্রসর হওয়া উচিত।”

 

“ভবিষ্যতে তুমি আসবে আর আমাকে স্মরণ করে হয়ত আমার কবরের গায়ে চুমু খাবে; তবে কেন এখনি নয়? এই যে আমি, সেই ভবিষ্যতের একই ব্যক্তি।”

 

“তোমায় যা দেয়া হয়েছে মৃত্যু তা কেড়ে নেবার আগেই, তোমার যা দেয়ার আছে; দান কর।”

 

“দুঃখ-ক্লেশ হয়তো শুরুতে মনঃক্ষুণ্ণ করবে,
কিন্তু প্রতিটি দুর্দশাই অতিক্রান্ত হয়।
সব হতাশা নিভে আশার প্রদীপ উজ্জ্বল হয়;
আর সব অন্ধকারের পরেই হয় নব-অরুনোদয়।”

 

“তুমি এ ব্রহ্মান্ডে গুপ্তধনের খোঁজ করছো, কিন্তু প্রকৃত গুপ্তধনতো তুমি নিজেই।”

 

“তুমি আলোর প্রতি তার স্বীয় ও শাশ্বত আখিঁতেই দৃষ্টি নিক্ষেপ কর।”

 

“প্রদীপ হও,
কিংবা জীবনতরী,
অথবা সিঁড়ি;
কারো ক্ষত পূরণে সাহায্য কর।”

 

“যখন তুমি ক্রোধের অবয়ব দেখতে পাও,
তার গভীরে লক্ষ্য কর,
সেথা তুমি দম্ভের অবয়ব দেখতে পাবে।”

 

“অর্ধেক নিঃশ্বাস-সম ক্ষুদ্র এ জীবনে, ভালবাসা বিনে অন্যকিছু বপন করোনা।”

 

“যেটা হয়নি সেটা নিয়ে দুঃখ করো না। কিছু ঘটনা ঘটে অনাগত দূর্যোগকে থামিয়ে দেবার জন্য।”

 

আধ্যাত্মিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla7-attoprokash
আধ্যাত্মিকতা ও জীবন দর্শন নিয়ে জালালউদ্দিন রুমির উক্তি

 

“যদি লোকে তোমাকে ভুল বুঝে তবে বিচলিত হয়ো না!
তোমার কথা হয়ত তারা শোনে, কিন্তু তাদের মনে যা আসে তা সম্পূর্ণ তাদের মনপ্রসূত চিন্তা।”

 

“খোদার কাছে পৌঁছানোর নামই প্রেম…..
আর প্রেমে দেহ, মন কিংবা আত্মার অস্তিত্ব অবশিষ্ট থাকে না।”

 

“যা তোমায় পরিশুদ্ধ করে,
তাই সঠিক পথ।”

 

“তুমি কি তোমার আত্মার খোঁজ করছো?
তবে তোমার মনের খাঁচা থেকে অবমুক্ত হও।”

 

“যারা তোমাকে পছন্দ করে না তাদের কে নিয়ে কখনও ভাবতে যেয়েও না ,তাদের নিয়েই সব সময় আনন্দের সাগরে ডুবে থাকো যারা তোমায় পছন্দ করে।”

 

“আমি জেনেছি যে, প্রত্যেক নশ্বর সৃষ্টিই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে; তবে এও জেনেছি যে কেবল গুটিকয়েকই জীবনের আস্বাদ গ্রহণ করবে।”



“তোমার ক্ষুদ্র জগত থেকে বের হয়ে আসো এবং স্রস্টার অসীম জগতে প্রবেশ করো!”

 

“মৃত্যু মানেই হারিয়ে যাওয়া নয়! সূর্য-চন্দ্র অস্ত যায়……কিন্তু তারা হারিয়ে যায় না!”“যখনই নিজের স্বার্থপর সত্তার উপর বিজয় অর্জন করতে পারবে, ঠিক তখনই মনের সমস্ত অন্ধকার আলোতে রুপান্তরিত হয়ে যাবে!”

 

“যদি তোমার অন্তরে আলোর জ্যোতি থাকে, তবে তুমি তোমার পথ পেয়ে যাবে!”

 

“জীবনের অর্ধেককাল কেটে যায় অন্যকে মুগ্ধ করার প্রচেষ্টায়;
আর বাকি অর্ধেক কাটে অন্যের দেয়া দুশ্চিন্তার ভারে।”

 

“কেন দুইয়ের মাঝে দুয়ার খোলার শত প্রচেষ্টা, যখন সম্পূর্ণ দেয়ালই কেবল মোহমায়া।”

 

“হয়তো বা তুমি শাখা -প্রশাখায় এমন জিনিসের সন্ধান করছো যার প্রাপ্তি কেবল শেকড়েই মেলে।”

 

আধ্যাত্মিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla8
আধ্যাত্মিকতা ও জীবন দর্শন নিয়ে রুমির উক্তি

 

“যেখানে দু:খ আছে সেখানেই দু:খ হতে মুক্তির উপায় আছে।”

 

“যে অন্ধকারের মধ্যেই তুমি থাক না কেন,ধৈর্য ধরে বসে থাক, প্রভাতের সুর্য শীঘ্রই আসিতেছে।”

 

“দুঃখ কষ্ট উপহার স্বরুপ, এতে লুক্কায়িত আছে করুণা!!!”

 

“তোমার আত্মাকে সেইসব জিনিস বোঝার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যা তোমার অন্তর বুঝতে অপারগ।”

 

“সবশেষে আমরা সবাই একদিন মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করবো, কিন্তু জীবনে চলার পথে সাবধান থাকবে, যেন কোন মানুষের হৃদয়ে আঘাত না করো।”

 

“যে সৌন্দর্য তুমি আমার মাঝে দেখতে পাও, তা তোমারই প্রতিচ্ছবি।”

 

“তোমার মনের ইচ্ছার অনুসরণ করতে গিয়ে বিপথে চলে যেয়ো না।”

 

“যতক্ষন পর্যন্ত তুমি নিজের ভিতরের আগুন কে খুজে না পাবে,ততক্ষন পর্যন্ত জীবনের বসন্তে পৌছতে পারবে না।”

 

“ভালবাসার এমন দরজা খুজো, যে দরজা কখনো তালা মারা হয় না।”

 

“যা খুশি ঘটুক কোন ব্যাপার না,শুধু অবিরত হাসতে থাকো,নিজেকে ভালোবাসায় ডুবিয়ে দাও।”

 

“যার একটি ভালো বন্ধু আছে,তার আয়নার কোন প্রয়োজন নেই।”

 

“আমি জেনেছি যে প্রত্যেক প্রানীই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে,কিন্তু খুব কম প্রানীই এমন আছে যারা প্রকৃত জীবনের স্বাদ পেয়েছে।”

 

“যে সম্মান দেয়, পরিনামে সেই সম্মান পায়।”

 

“যখন নিজের স্বার্থপর স্বত্তাকে জয় করতে পারবে, তখন তোমার সব অন্ধকার আলোয় রূপান্তরিত হবে।”

 

আধ্যাত্মিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla9
আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন নিয়ে জালালউদ্দিন রুমির বানী

 

“আমি তোমাকে সত্যি বলছি, যে সব কিছু তুমি এখন দেখছ তা একদিন সপ্নের মত অদৃশ্য হয়ে যাবে।”

 

“আমি সারা দুনিয়া খুজে দেখেছি কিন্তু উত্তম আচ রন এর চেয়ে বেশি পুন্য কোথাও খুঁজে পাই নি।”

 

“এই পৃথিবীতে মন থেকে ফুটে আসা মিষ্টি মুখের হাসির চেয়ে মূল্যবান আমার কাছে আর কিছুই মনে হয় না, বিশেষ করে তা যদি কোন নিষ্পাপ শিশু থেকে আসে।”

 

“মৃত্যু কিছু সময়ের জন্য দূরে নিয়ে যাওয়া আর কিছুই করতে পারে না।
সূর্য ডুবে যায় , চন্দ্র ও ডুবে যায়।
কিন্তু তারা চিরকালের জন্য চলে যায় না।
যখন তুমি একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছ
যখন সবাইকে তোমার বিরোধী মনে হচ্ছে
যখন তুমি অনুভব করছ তুমি আর এক মুহূর্ত সহ্য করতে পারছ না
তখন কখনই হাল ছেড়ে দিও না ।কারন এইটাই হল সেই স্থান ও সময়
যখন পুরা বিষয়টাই অন্য কিছুতে রুপান্তরিত হবে।”

 

“শুরুতেই তোমার মনের বিষাক্ত সাপ রূপী অহংকার কে মেরে ফেল এবং তাকিয়ে দেখতে থাক, সামনে তোমার সেই সাপটাই এক সময় শক্তিশালি ড্রাগনে পরিনত হয়ে গেছে।”

 

“তুমি অন্তরের যত গভীরেই যাবা ততই তোমার অন্তর্দৃষ্টি স্বচ্ছ হতে থাকবে।”

 

“আমাদের জীবনের শক্তিশালি উপাদান নিহিত আছে হৃদয় এর ভদ্রতা ও কোমলতায়।”



“বিদায় শব্দটা তাদের জন্য খাটে যারা কেবল চোখ দিয়ে মানুষকে ভালবাসে।কিন্তু যারা অন্তর ও আত্মা দিয়ে মানুষকে ভালোবাসে তাদের বেলায় বিদায় বলে কোন শব্দ নেই।”

 

“সুদিন কখনও আপনা থেকে তোমার কাছে আসবে না, তোমাকেই নিজেই তার কাছে হেটে যেতে হবে ।”

 

“নিজের জীবনের পথে যে পরিবর্তনে আসে তাকে বাধা দিও না।জীবনকে তার আপন গতিতে চলতে দাও এবং এই ভেবে কখনও হতাশ হইয়ো না যে তোমার জীবন এ ধস নেমে গেছে।তুমি কি করে নিশ্চিত জানবে ?? যে অবস্থায় তুমি আছ সেই অবস্থা এর চেয়ে সামনের পরিবর্তন তোমার জন্য ভালো হবে না।”

 

যদি তোমার প্রচুর সম্পত্তি থাকে, তাহলে সে সম্পত্তি থেকে মানুষকে দান কর।”

 

আধ্যাত্মিকতা-সমাজ--দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla10
জীবন দর্শন ও আধ্যাত্মিকতা নিয়ে জালালউদ্দিন রুমির উক্তি

 

 

“যদি তোমার কাছে দান করার মত কিছুই না থাকে, তাহলে নিজের হৃদয়কে দান কর।”

 

“যদি তুমি কখনও আধ্যাত্মিক জগতের কোন জ্ঞানীর সাক্ষাত পাও, তাহলে তার সাথে নম্র ও বিনয়ীভাবে কথা বল এবং তার কাছ হইতে কিছু শিখার জন্য আগ্রহী হও।”

 

“এটাকে অন্তরে তুলে নাও
তাহলে মনের বিশাল রাজ্যের ধুলিকনা গুলা চমকাতে শুরু করবে।
সুপ্ত প্রতিভা জেগে উঠবে ।
সঙ্গিত শুনো তাহলে মনে আনন্দ ও স্বর্গীয় প্রশান্তি লাভ করতে পারবে।”
মানুষের প্রতিটা কড়া কথায় যদি তুমি রেগে যাও,
তাহলে তোমার মন কাচের মত স্বচ্ছ হবে কিভাবে????”

 

“তুমি কি জানো আগুন,পানি ,বাতাস, মাটি এরা কারা???
আগুন,পানি,মাটি , বাতাস, আত্মা এবং দেহ হলাম আমি নিজেই
নিজেকে ছোট মনে করা বন্ধ করো ,
কারন তোমার ভিতরেই লুকিয়ে আছে উল্লাসময় মহাবিশ্ব
তোমার অন্তরের দিকে নত হয়ে যাও ,
তাহলে দেখবে যে বিষয়ে তুমি চিন্তিত ছিলে তা আপনাআপনি সমাধান হয়ে গেছে।”

 

“আগে তুমি হাটতে শুরু কর ,তাহলে দেখবা পথ আপনাআপনি তৈরি হয়ে গেছে।”

 

“আপন অন্তর-আত্মার সাথে পরিচিত হবার ক্ষুধা অন্য সকল কামনা, আকাঙ্ক্ষাকে ক্ষান্ত করবে।”

 

“আমি আমার বন্ধুদের হৃদয় দিয়ে ভালবাসি না,
মন দিয়েও ভালবাসি না
কারন হৃদয় একসময় থেমে যেতে পারে
মন তাকে ভুলে যেতে পারে
আমি তাদের ভালবাসি আমার অন্তর আত্মা দিয়ে
এই অন্তর আত্মা কখনও থামে না ,কখন ভুলেও যায় না।”

 

“তোমার কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানোর কোন দরকার নাই,নিজের ভিতরে ভ্রমন করো ,মনের মনি-মুক্তর কোঠায় প্রবেশ করো এবং নিজের আত্মার স্বর্গীয় আলোতে স্নান করো।”

 

“ধৈর্যের কর্ণ দিয়ে মানুষের কথা শুনো
করুনার চোখ দিয়ে তাকাও
ভালবাসার ভাষা দিয়ে তার সাথে কথা বল
তোমার অন্তরের চোখ খোল ,
চেয়ে দেখ এই দুনিয়া একটা মায়া স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না।”



“তোমার গুরু বা আধ্যাত্মিক জগতের শিক্ষক যদি ঘাসও হয় তবুও তাকে মনে প্রানে ভক্তি শ্রদ্ধা করো,সেই ভক্তির জোরেই তুমি মুক্তি পেয়ে যাবে নিশ্চয়ই।”

 

“তুমি কি তোমার অন্তরের আত্মাকে খুজে বেড়াচ্ছ??? তাহলে তুমি নিজের মনের বন্ধী দশা হতে বেড়িয়ে আসো।”

 

“ভুলে যাও নিজের নিরাপত্তার কথা ,সেখানেই বাস করো যেখানে তোমার খুব ভয় লাগে ,ধ্বংস করে দাও তোমার মিথ্যা মান-সম্মান ,হয়ে যাও ছন্ন ছাড়া বা কুখ্যাত কেউ।”

 

“গুপ্তধন কখনও সরাসরি দেখা যায় না। তারা গুপ্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকে যেভাবে লুকিয়ে আছে মানুষের ভিতরে পরমাত্মা।”

আধ্যাতিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla11
আধ্যাতিকতা ও জীবন দর্শন নিয়ে মাওলানা রুমির উক্তি

“কিছু কিছু সুন্দর পথের খোঁজ হারিয়ে না গেলে পাওয়া সম্ভব নয়।”

 

“হতাশার পিছনেই আশা আছে এবং অন্ধকারের পিছনেই সূর্য লুকিয়ে থাকে।”

 

“ভালো লোকের পরিচয় হচ্ছে তারা সব সময় অঙ্গীকার রক্ষা করে পক্ষান্তরে মন্দ লোকের অঙ্গীকার সব সময় অশান্তির কারন হয়।”

 

“সব সময় সতর্ক থাক।কারন প্রভুর লীলা খেলার সৌন্দর্য মাঝে মাঝে হটাৎ করে দেখা যায় । এটা কোন রকম সতর্কবানি ছাড়াই স্বচ্ছ হৃদয়ে অবতরন করে থাকে।”

 

“তোমার গোপন বিষয় অন্তরে লুকায়িত থাকলে,তোমার উদ্দেশ্য অতি তাড়াতাড়ি সাধিত হবে।”

 

“দুঃখ থেকে নিজেকে পালানোর চেষ্টা করো না
ও, প্রশান্ত আত্মা দুঃখের ভিতরেই তার প্রতিকার খোঁজ কর
কারন কাটার মাঝেই গোলাপ থাকে আর পাথরের কঠিন খনির ভিতরেই বাস করে মানিক-রত্ন।”

 

“আলোর মত প্রদিপ্ত হও
অথবা চেষ্টা কর কারো জীবন বাঁচানোর তরী হতে
অথবা হয়ে যাও সাহায্যের কোন মই
কোন অসুস্থ আত্মাকে সুস্থ করতে চেষ্টা কর
বের হয়ে যাও ,তোমার গৃহ থেকে একজন ছন্ন ছাড়া রাখালের মত
বিশ্ববাসীর কল্যাণে।”

 

“আমি পাখির মত মুক্ত কণ্ঠে গান গাইতে চাই ,আমার এটা ভাবার কোন দরকার নাই যে এটা শুনতে কেমন লাগবে এবং অপরে আমাকে নিয়ে কি ভাববে।”

 

“যখন তুমি নিজেকে নিজের মধ্যে হারিয়ে ফেলতে পারবে,তখন তোমার সামনের সকল বাধা অদৃশ্য হয়ে যাবে।”

 

নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে নিজের মধ্যে বিলুপ্ত করে দাও,ফিরে যাও তোমার আত্মার মূলে।”

 

“কারো পায়ে যদি কাঁটা বিঁধে,তবে তা বের করতে প্রথমে পা উরুর ওপরে উঠাতে হয়,তার পর সুঁইয়ের সাহায্যে বিদ্ধ কাঁটার তালাশ করতে হয়।এরপরও যদি সেই কাঁটার খোঁজ না পাওয়া যায়,তবে মুখের লালা দিয়ে সে স্থান পরিষ্কার করে নেয়া হয়।”

 

“বাহ্যিক অঙ্গ পায়ের কাঁটার খোঁজ বাহির করা যদি এত কঠিন হয়,তাহলে তোমার অন্তরে বিদ্ধমান কাটা তথা কাম,ক্রোধ,মোহ,মায়া,মদ,মাৎসর্য তা বের করা কতই না কঠিন কাজ!!!যে সে পীর মুর্শিদ কি তা বের করতে পারে???”

 

“এই দুনিয়া সফলতা বিফলতার সংস্পর্শে চলে।একটি থাকলে আরেকটি থাকে না।একটি লাভ হলে আরেকটি হারিয়ে যায়।যেমন প্রথমে তোমার কাছে।”

 

“কলসি ছিল, কিন্তু তুমি পানি পাও নি।আর এখন পানি পেয়েছ ঠিকই কিন্তু তোমার কলসি টা ভেঙ্গে গেছে।এমন দুনিয়ার প্রতি মগ্ন হওয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ???”

 

“আপন মন কে শান্ত করো, এরপর দেখবে আত্মা নিজেই কথা বলবে!”

 

“যন্ত্রণা আশীর্বাদস্বরূপ কারণ এতে নিহিত রয়েছে অনুগ্রহ।”

আধ্যাতিকতা-সমাজ-জীবন-দর্শন-নিয়ে-মাওলানা-জালালউদ্দিন-মুহাম্মদ-রুমির-উক্তি-বানী-jalaluddin-rumi-quotes-bangla (2)
আধ্যাতিকতা ও জীবন দর্শন নিয়ে জালালউদ্দিন রুমির উক্তি

মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি তার কবিতায় যেসব বানী তুলে ধরেছেন তা কোরআন এবং হাদিসের আলোকে তুলে ধরেছেন। তিনি কোরআন এবং হাদিস গ্রন্থ সমূহের মধ্যে চষে বেড়িয়েছেন। তার কবিতায় তিনি কোরআন এবং হাদিসের আলোকে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। সমাজ জীবন, আধ্যাত্মিকতা, জীবন দর্শন সহ সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রেম নিয়ে রুমির উক্তি গুলো বিশ্বজনীন ও সার্বজনীন হতে পেরেছে কোরআন ও হাদিসের উপর তার বিস্তর জ্ঞানের প্রভাবে।

১২৭৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর মরমী কবি রুমি মৃত্যুবরণ করেন। রুমির মৃত্যুতে, তার শেষবিদায়ে মুসলিমের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলীর মানুষ সমানভাবে অংশগ্রহন করে। তিনি গন মানুষের কবি ছিলেন, নির্দিষ্ট ধর্মে তাকে লিপিবদ্ধ করা ভুল হবে। তার লিখা কবিতা, তার মুখশ্রোত বানী এবং উক্তিসমূহ সকলের ধর্মের মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে। আধ্যাত্মিকতা, সমাজ, জীবন দর্শন নিয়ে রুমির উক্তি সমূহ ৮০০ বছর ধরে মানুষকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছে। মাওলানা জালালউদ্দিন মুহাম্মদ রুমির জনপ্রিয়তা এই সময়ে এসেও ক্ষুণ্ণ হয়নি বরঞ্চ বাড়ছে।

একনজরে দেখে নিতে পারেন >> কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উক্তি মেলা । বাস্তবিক কিছু চরিত্রের উন্মেষ

এই আর্টিকেলে জালালউদ্দিন রুমির বানী গুলো বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। সাহায্য নেয়া হয়েছে রুমির মসনবী বই, বিভিন্ন বাংলা সাহিত্য ব্লগ, ফেইসবুক এবং উইকিপিডয়া থেকে।

মোঃ ওয়ালীউল্লাহ অলি

http://enlightentricks.com

সমসাময়িক একজন মানুষ। রক্তে মিশে থাকা লেখালেখি থেকেই ব্লগিং এর অনুপ্রেরণা। লিখতে ভালোবাসি। প্রচুর লিখতে হবে, বাঁচতে হলে লিখতে হবে। এই ব্রত মাথায় নিয়েই লিখে চলেছি। বাংলার পাশাপাশি ইংলিশেও ব্লগিং করছি Enlighten Tricks ওয়েবসাইটে।

8 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *