মাওলানা তারিক জামিলের উক্তি ও উপদেশ । জীবন সম্পর্কিত অমূল্য জ্ঞান সম্ভার
মাওলানা তারিক জামিল পাকিস্তানের মিয়া চান্নুতে ১৯৫৩ সালের ১ লা জানুয়ারী জন্ম গ্রহন করেন। তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কাটিয়েছেন লাহোরের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। তিনি জামেয়া আরব, রায়উইন্ড থেকে তাঁর ইসলামি শিক্ষা লাভ করেন। সেখানে তিনি কুরআন, হাদীস, যুক্তি এবং ইসলামি আইনশাস্ত্র নিয়ে অধ্যায়ন করেন।
তিনি আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ধর্মীয় খুতবা প্রদান করেন। যা তিনি দেওবন্দ নামক ধারা থেকে এনেছেন।
তিনি তাঁর খুতবায় আত্মশুদ্ধি এড়ানো, আল্লাহর আদেশ পালন, হযরত মোহাম্মদ এর পথে চলার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি ২০১৩ সাল পর্যন্ত জর্দানের রয়্যাল আল-বাইত ইনস্টিটিউট থেকে ফর ইসলামিক থট কতৃক বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিমদের মধ্যে একজন হিসাবে নির্বাচিত হন।
তিনি ইতিমধ্যে তাঁর অনেক বইই প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে কুরআন হাদীস এর আলোকে চোখে দেখা কবরের আযাব, আল্লাহর সাথে বান্দার বন্ধুত্ব, জান্নাতি হুর কেমন হবে, জান্নাত জাহান্নামের রুপকথা ও আরো অনেক বই। যার লেখা দিয়ে তিনি শ্রুতা এবং পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। বর্তমান বিশ্বে তিনি সবচেয়ে আলোচিত একজন বক্তা। যার বয়ান শুনার জন্য হাজারো আল্লাহ প্রেমী বান্দা রয়েছেন।
আত্মপ্রকাশের আজকের আয়োজনে রয়েছে পাকিস্তানের তথা সারা বিশ্বের বিখ্যাত আলেম ও বক্তা মাওলানা তারিক জামিলের উক্তি, বাণী ও উপদেশসমূহ।
মাওলানা তারিক জামিলের উক্তি ও উপদেশ বাণী সমাবেশ
বিশ্বখ্যাত ইসলামিক ব্যক্তিত্ব তারিক জামিলের উক্তি ও উপদেশ বাণীসমূহকে দুইটি ভাগে ভাগ করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রচনার ভাগসমূহ
মাওলানা তারিক জামিলের উপদেশ বাণীসমূহ
তারিক জামিল একজন অসাধারণ বক্তা এবং তাঁর জ্ঞানের ভাণ্ডার বেশ সমৃদ্ধ। তিনি আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত বাণী এবং মহানবী মুহম্মদ (সাঃ) এর দেখানো পথকে সাধারণ মানুষের সামনে অত্যন্ত চমৎকারভাবে প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি যুক্ত করেছেন সাধনা এবং দর্শন। মানুষ সঠিক পথের সন্ধান খুঁজে পান তারিক জামিলের উপদেশ বাণীর মাধ্যমে। তেমনি কিছু উপদেশ আত্মপ্রকাশে একত্রিত করা হয়েছে।
“রোগীর সেবা করা, রাত জেগে নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম।“
“গুনাহের সমুদ্রে হাবুডুবু খেলেও নামাজ তরক করো না ৷”
“মানুষকে তুমি তোমার সবটুকু দিয়েও রাজী করাতে পারবে না।
কিন্তু
তোমার রব সামান্য ইবাদাতেই রাজি হয়ে যায়!”
“যখন কোন কিছু বলতে না পারো কান্না করে নিও, কেননা আল্লাহ্ তো সবই জানেন।“
“কখনো কারো মনে দুঃখ দিও না। কারণ, সে যদি সহ্য করে তা আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়, তাহলে তার পরিণতি অনেক ভয়ানক হবে!”
“ভিক্ষুককে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না ।কারণ এটা তোমার উপর আল্লাহর দয়া যে, তিনি তাঁর সৃষ্টকে তোমার দুয়ারে পাঠিয়েছে।“
মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর বরাত দিয়ে মাওলানা তারিখ জামাল উক্ত উক্তিটি করেন।
“মানুষের সাথে সামান্য বিষয়ে মনোমালিন্য হলে,
আপনাকে ছেড়ে চলে যায়!
আর আল্লাহ আপনার সামান্য ইবাদতেও, রাজি হয়ে যায়।“
আগুন লাগিয়ে দাও অই টাকায় যার জন্য মিথ্যা বলতে হয় ।“
“আমার নবীর দুই পিলার, ইবাদাত আর নামাজ । নামাজ কাযা করো না।“
“স্ত্রীগণ স্বামীর উপর অত্যাচার করো না। স্বামীগণ স্ত্রীদের উপর অত্যাচারে করো না।“
“তোমার ঘরকে জান্নাত বানাও। ঘর জান্নাত টাকা দিয়ে হয়না, নবীওয়ালা চরিত্রের মাধ্যেমে হয়।“
“মা বাপকে সম্মান করো, জান্নাত পেয়ে যাবে।“
অন্যান্য জ্ঞানী গুণী ইসলামিক ব্যক্তিত্বের উপদেশগুলো দেখে নিতে পারেন নিম্নলিখিত ঠিকানায়।
- শেখ সাদীর লোক সমাদৃত উক্তি ও উপদেশ বাণীসমূহ
- সুফি দার্শনিক ইমাম গাজ্জালীর উক্তি ও উপদেশ সম্ভার
- মাওলানা জালালউদ্দিন রুমীর জীবনবোধ উক্তি
মাওলানা তারিক জামিলের জীবনবোধ । উক্তি ও বাণী
জীবনকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে জীবনবোধ অত্যন্ত জরুরী। যা জীবনকে অন্য রুপ দেয়। সৃষ্টি এবং সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে জানতে আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। জীবন নিয়ে মাওলানা তারিক জামিলের উক্তি ও বাণীগুলো অত্যন্ত চমৎকার এবং গভীর দর্শন সম্পর্কিত।
“জীবন সহজ না। জীবনকে সহজ বানিয়ে নিতে হয়।
কখনো দু’য়া করে, কখনো সবর করে, কখনো মাফ করে আবার কখনও বা এড়িয়ে চলে।“
“যে দুনিয়া আমার ইমান নস্ট করে দেয়!
আমার দরকার নেই আমার দরকার নেই।“
“আমি সত্যের সাথী, আমাকে সত্য বলতে হবে
আমি মিথ্যা বলতে পারবো না।
“আমার নবীর জীবনের দ্বিতীয় পিলার সত্যেবাদিতা ও চরিত্র।“
“স্বামী -স্ত্রীর ঝগড়া ছেলে মেয়েদের নস্ট করে দেয়।“
“স্বামী বিবিকে ইজ্জ্বত দাও বিবি স্বামীকে ইজ্জত দাও যাতে একজন রেগে গেলে আরেকজন চুপ হয়ে যায়।”
“ঝগড়া তো থাকিবেই , মারা মারি তো থাকেই একবার আমার কথা মেনে ঘরকে জান্নাত বানাও দেখবে তোমার জীবন বদলে গেছে।“
জীবনবোধ আমূলে পাল্টে দেয় মানুষের জীবন। জীবনবোধ পাল্টে দেওয়া এমনি কিছু উক্তি পড়ে নিন নিম্নলিখিত লিংকগুলো হতে।
মাওলানা তারিক জামিল তাঁর প্রলুব্ধ জ্ঞান এবং আল্লাহর প্রেরিত পথকে জীবনের সঙ্গী করে মানুষের মাঝে জীবনের আসল অর্থ বিলিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর বক্তৃতা সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে এক ধরণের উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। তারিক জামালের উক্তি ও উপদেশ মানুষের অন্তরের কালো দূর করে সমাজের আলো ছড়াবে সেই প্রত্যাশাই রইলো।