গৌতম বুদ্ধের উক্তি । মুল্যবোধ বদলে দেওয়া জীবন দর্শন
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ; যার অন্য নাম সিদ্ধার্থ গৌতম। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ বা ৪৮০ অব্দে লুম্বিনী, শাক্য গণরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন(আনুমানিক)। পিতা শুদ্ধোধন ও মাতা মায়া দেবীর একমাত্র সন্তান সিদ্ধার্থ গৌতম, তাঁর ধর্ম পত্নী যশোধারা এবং তাঁদের একমাত্র পুত্রসন্তান রাহুল। পরবর্তীতে রাজভোগ ছেড়ে সন্যাস জীবনে ব্রতী হন এবং অধ্যবসায়ের এক পর্যায়ে বোধি লাভ করেন বলে ধারণা করা হয়। গৌতম বুদ্ধ তাঁর অন্তঃদৃষ্টি দিয়ে মানুষের দুঃখ, কষ্ট অনুধাবন করেছিলেন এবং তা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করেছিলেন। তাঁর বোধিলাভের পর বৌদ্ধ সংঘ গঠিত হয়, যাতে তাঁর পুত্র রাহুলসহ পালিত মাতা যোগ দান করেন, পাশাপাশি অসংখ্য শিষ্য বৌদ্ধ সংঘের বিস্তার লাভে সহায়তা করেন। যা বৌদ্ধ ধর্মকে বর্তমানের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। গৌতম বুদ্ধ তাঁর বুদ্ধ সংঘের বিস্তারে এবং মানুষের দুঃখ, কষ্ট লাঘবে অনেক অমুল্য বাণী আমাদের জানিয়ে গিয়েছেন। আত্মপ্রকাশের আজকের আয়োজনে থাকছে গৌতম বুদ্ধের উক্তি ও অমূল্য বাণীর সমাবেশ।
গৌতম বুদ্ধের উক্তি ও বাণী সম্ভার
গৌতম বুদ্ধ , যিনি জীবনের একটা সময় পর্যন্ত রাজকীয় জীবন যাপন করেছেন এবং যখন জীবনের বোধোদয় হয়েছে তিনি ভোগ বিলাশ ত্যাগ করে শান্তির বাণী শুনিয়েছেন। জীবন চলার পথে নানা বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। গৌতম বুদ্ধের উক্তি ও বাণীগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রচনার ভাগসমূহ
গৌতম বুদ্ধের জীবনদর্শন
গৌতম বুদ্ধের জীবন সরলরেখায় চলতে পারত, তিনি চাইলেই রাজা হিসেবে জীবনকে অবলীলায় পার করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি ভোগ বিলাসিতা ছেড়ে জীবন সাধনায় মত্ত হলেন। সাধু সন্ন্যাসীর পথ বেছে নিয়ে গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হয়ে জীবনের সত্যিকার অর্থ খুঁজে বেড়িয়েছেন। জীবন নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তি ও বাণী নিম্নরুপ; যা হয়ত আপনার জীবন আদর্শ বদলে দিতে সক্ষম।
“তুমি একমাত্র সেটাই হারাও যেটা তুমি আঁকড়ে ধরে বসে থাকো।”
~ গৌতম বুদ্ধ
“শান্তি মনের ভীতর থেকে আসে, তাই সেটা ছাড়া শান্তির অনুসন্ধান করোনা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ প্রাজ্ঞ ব্যক্তি কখনো নিন্দা বা প্রশংসায় প্রভাবিত হয় না।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তোমাকে তোমার রাগের জন্য শাস্তি দেওয়া হবেনা বরং তুমি তোমার রাগের দ্বারাই শাস্তি পাবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“অর্থহীন সহস্র বাক্য অপেক্ষা একটিমাত্র সার্থক বাক্য যা শুনে লোকে শান্তি লাভ করে তাই শ্রেয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“আসক্তিই দুর্ভোগের মূল কারণ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“মূর্খরা ‘আমার পুত্র, আমার অর্থ, আমার ধন’ এই চিন্তায় যন্ত্রণা ভোগ করে। যখন সে নিজেই নিজের না তখন পুত্র বা ধন তার হয় কীভাবে?” ~ গৌতম বুদ্ধ
“জ্ঞানগর্ভ জীবনের জন্য মুহূর্তের ইতিবাচক ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই জন্য ভয়কে তুচ্ছ করতে হবে, এমনকি মৃত্যুকেও।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“লক্ষ্য বা গন্তব্যে পৌঁছানোর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই যাত্রাকে ভালোভাবে পূরণ করা হয়ে থাকে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“করুণাই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”ধ্যান থেকে আসে জ্ঞান ; ধ্যানের অভাবে আসে অজ্ঞতা। জানতে শেখো কি তোমাকে এগিয়ে নিয়ে যায় আর কি পিছু টানে, জেনে নিয়ে নিজের পথ নির্ণয় করো যা জ্ঞানের দিকে যায়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“কোনো কিছুই চিরন্তন নয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“যদি আপনার দয়া আপনাকে সম্মিলিত করতে না পারে, তাহলে সেটা অসম্পূর্ণ হয়ে থাকে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ঘৃণায় কখনও ঘৃণা দূর হয় না। অন্ধকারে আলো আনতে তোমাকে কোনো কিছুতে আগুন জ্বালতেই হবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“প্রত্যেক মানুষ, তার স্বাস্থ্যের কিংবা রোগের সৃষ্টিকর্তা হয়ে থাকে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সবকিছুকে বোঝার অর্থ সবকিছুকে ক্ষমা করে দেওয়া।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন আরেকজনের পরিপূরক। অর্থাৎ সমাজে আমরা কেউ একা নই।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“হাজারও খালি শব্দের থেকে ভালো সেই শব্দ, যেটা শান্তি নিয়ে আসে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“কোনো খারাপ জিনিস, কোনো খারপ চিন্তা থেকেই আসে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“খারাপটি সর্বদা তুমি নিজেই পছন্দ করছো। সুতরাং, তোমার খারাপ কাজের জন্য তুমি নিজেই দায়ী। এর দায়ভার অন্য কারো নয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“পা তখনই অন্য পাকে অনুভব করে, যখন সেটা মাটিকে ছোঁয়। ~ গৌতম বুদ্ধ
“পবিত্রতা কিংবা অপবিত্রতা নিজের উপর নির্ভর করে | কেউই অন্য কাউকে পবিত্র করতে পারেনা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ বর্ষাকালে এখানে, শীত-গ্রীষ্মে ওখানে বাস করবো – মূর্খরা এভাবেই চিন্তা করে। শুধু জানে না জীবন কখন কোথায় শেষ হয়ে যাবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সবচেয়ে অন্ধকার রাতের অর্থ অজ্ঞানতা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“জীবনে যতই ভালো বই পড় কিংবা ভালো উপদেশ শোনো না কেন, কিন্তু যতক্ষণ না তুমি সেইসবের থেকে পাওয়া তথ্যগুলোকে নিজের জীবনে ব্যবহার না করছো; ততক্ষন অবধি সেইসবের কোনো মূল্যই নেই।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ আলস্য ও অতিভোজের দরুন স্থূলকায় নিদ্রালু হয়ে বিছানায় গড়াগড়ি দেয়া স্বভাবে পরিণত হলে সেই মূর্খের জীবনে দুঃখের পুনঃ পুনরাবৃত্তি ঘটবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”সত্যের পথে চলতে কেবলমাত্র দুটো ভুলই করা সম্ভব, হয় পুরো পথ না যাওয়া, না হয় পথ চলা শুরুই না করা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সত্যের পথে চলার সময় মানুষ মাত্র দুটো ভুলই করতে পারে – এক, সে হয়তো সেই পথকে পুরো শেষ করতে পারবেনা অথবা দুই, সে হয়তো সেই পথে যাওয়ার কোনদিন চেষ্টাই করবেনা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে, তার নিজের দুনিয়াকে স্বয়ং নিজে খোঁজার।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“প্রত্যেক অভিজ্ঞতা কিছু না কিছু শেখায় | প্রত্যেক অভিজ্ঞতাই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা আমাদের ভুল থেকেই শিখি।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তোমার কাছে যা কিছু আছে, সেগুলোকে কখনোই অন্যের কাছে বাড়িয়ে বলোনা আর অন্যকে দেখে ঈর্ষাও করোনা | যে অন্যদের দেখে ঈর্ষা করে, সে কখনোই মানসিকভাবে শান্তি পাবেনা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“আমরা যখন কথা বলি, তখন সেইসময় আমাদের শব্দ গুলোকে ভালোভাবে নির্বাচন করা উচিত | কারণ এরফলে শ্রোতার উপর ভালো কিংবা খারাপ প্রভাব পরতে পারে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“আমি কখনোই দেখিনা যে কি কি চলে গেছে, আমি সর্বদা দেখে আর কি করা বাকি আছে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“নিষ্ক্রিয়তা হচ্ছে মৃত্যুর একটা ছোট রাস্তা | কঠোর পরিশ্রমই ভালো জীবনের রাস্তা হয়ে থাকে |” ~ গৌতম বুদ্ধ
“নিশ্চিতভাবে যে ব্যক্তি বিরক্তিপূর্ণ চিন্তার থেকে মুক্ত থাকে, সেই শান্তি পেয়ে থাকে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“যখন আমরা মনের রূপান্তর ঘটাই, আর চিন্তাগুলো বিশুদ্ধ করি, তখন আমরা অন্যায় কাজ থেকে জীবনকে পরিশুদ্ধ করি। এর মাধ্যমে খারাপ কাজের চিহ্নও মুঁছে যায়। একটা মোমবাতি যেমনভাবে আগুন ছাড়া নিজে জ্বলতে পারেনা, ঠিক সেইরকমই একটা মানুষ আধ্যাত্মিক জীবন ছাড়া বাঁচতে পারেনা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“চলে যাওয়া সময় কখনোই ফিরে আসবেনা | আমরা অনেকসময় এটা ভাবি যে, আজ যেই কাজটা হচ্ছেনা সেটা কাল হয়ে যাবে | কিন্তু বাস্তবে যেই সময় একবার চলে যায় সেটা আর কোনোদিনও আসবেনা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“যখন আমরা মনের রূপান্তর ঘটাই, আর চিন্তাগুলো বিশুদ্ধ করি, তখন আমরা অন্যায় কাজ থেকে জীবনকে পরিশুদ্ধ করি। এর মাধ্যমে খারাপ কাজের চিহ্নও মুঁছে যায়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমন্বয়ই জীবন। কেবল একটি সঠিক মুহূর্ত পাল্টে দেয় একটি দিন। একটি সঠিক দিন পাল্টে দেয় একটি জীবন। আর একটি জীবন পাল্টে দেয় গোটা বিশ্ব।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“একটা শুদ্ধ এবং নিস্বার্থ জীবনযাপন করার জন্য একটা ব্যক্তিকে, সবকিছুর মধ্যেও কিছুই নিজের না; এই ভাবনা রাখতে হবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“মা যেমন তার নিজ পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে তেমনি সকল প্রাণীর প্রতি অপরিমেয় মৈত্রী ভাব পোষণ করবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তোমাদের সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততোই উপভোগ করতে পারবে জীবনকে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“একটা শুদ্ধ এবং নিস্বার্থ জীবনযাপন করার জন্য একটা ব্যক্তিকে, সবকিছুর মধ্যেও কিছুই নিজের না; এই ভাবনা রাখতে হবে।”
”আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরো জীবন কাটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তো এরইমধ্যে । সুতরাং, এবার থামো।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“যে ভালোভাবে জীবন কাটিয়েছে, সে মৃত্যুকেও ভয় পায়না।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“যে মানুষ জ্ঞানগর্ভ জীবনযাপন করেছে তার মৃত্যু-ভয় পাওয়া উচিত নয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমন্বয়ই জীবন। কেবল একটি সঠিক মুহূর্ত পাল্টে দেয় একটি দিন। একটি সঠিক দিন পাল্টে দেয় একটি জীবন। আর একটি জীবন পাল্টে দেয় গোটা বিশ্ব।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“স্বাস্থ্য ছাড়া জীবন, সত্যিকারের জীবন নয়। এটা বেদনার একটা স্থিতি আর মৃত্যুর একটা রূপ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“মা যেমন তাঁর নিজ পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে তেমনি সকল প্রাণীর প্রতি অপরিমেয় মৈত্রীভাব পোষণ করবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সকলেই দণ্ডকে ভয় করে, জীবন সকলের প্রিয়। সুতরাং নিজের সাথে তুলনা করে কাকেও প্রহার করবে না কিংবা আঘাত করবে না।” ~ গৌতম বুদ্ধ
শত্রু নিয়ে গৌতম বুদ্ধ বলেছেন,
“ জগতে শত্রুতার দ্বারা কখনো শত্রুতার উপশম হয় না, মিত্রতার দ্বারাই শত্রুতার উপশম হয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
জীবনদর্শন ও জীবন নিয়ে অন্যান্য জ্ঞানী গুণীদের উক্তি ও বাণীগুলো জেনে নিন।
- মাদার তেরেসার উক্তি । জীবনবোধ সঞ্জীবনী বাণী সমাবেশ
- চাণক্যের নীতি । আলোচিত ও বাছাইকৃত বাণী, শ্লোক ও উক্তি সমাবেশ
- হযরত আব্দুল কাদির জিলানির উক্তি । চমৎকার জীবনবোধ । ধর্মীয় অনুশাসন
গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণামূলক বাণী
মানব জীবনকে জটিলভাবে না দেখে সহজ করে দেখেছেন গৌতম বুদ্ধ। প্রতিটা সময়কে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে তাতেই কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। অনুপ্রেরণা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তি মানুষের পথ চলার অনুপ্রেরণা হতে পারে।
“শুভর সূচনা করতে প্রত্যেক নতুন সকালই তোমার জন্য এক একটি সুযোগ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“নিজেই নিজের ত্রাণ কর্তা। অন্য কেউ নয়। নিজেকে সুসংহত করতে পারলে মানুষ নিজের মধ্যেই দুর্লভ আশ্রয় লাভ করতে পারে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“যা আপনি চিন্তা করবেন, তাই আপনি হবেন।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সঠিক পথে পরিচালিত চিত্ত যতটুকু উপকার করতে পারে মাতা-পিতা বা আত্মীয় স্বজনও তা করতে পারে না।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তোমার চিন্তাই তোমার শক্তির উৎস। নেতিবাচক চিন্তা তোমাকে অনেক বেশি আঘাত করে যা তোমার ধারণায় নেই।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”যার সূচনা আছে তার সমাপ্তি আছে। এটা বুঝতে শিখলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“লক্ষ্যে বা গন্তব্যে পৌঁছানোর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই যাত্রাকে ভালোভাবে পূরণ করা হয়ে থাকে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“নিজের কথার মূল্য দিতে হবে নিজেকেই। কেননা, তোমার নিজের কথার ওপর নির্ভর করবে অন্যের ভালো কাজ কিংবা মন্দ কাজ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পারাটাও তোমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“প্রতিদিন সকালে আমাদের নতুন করে জন্ম হয় | তাই আজ আমরা কি করছি, সেটাই সব থেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“নিজেকে বিজয়প্রাপ্ত করা, অন্যের উপর বিজয়প্রাপ্ত করার থেকে বড় কাজ হয়ে থাকে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তুমিই কেবল তোমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
অন্যান্য জ্ঞানী গুণী মনীষীদের অনুপ্রেরণামূলক উক্তিগুলো জেনে নিতে পারেন নিচে লিংকগুলো থেকে।
এ. পি. জে. আবদুল কালামের উক্তি । জীবন । সমাজ । অনুপ্রেরণামূলক বাণী
মহাত্মা গান্ধীর উক্তি । জনপ্রিয় বাণী ও উপদেশ সমূহ
গৌতম বুদ্ধের ধর্মীয় উক্তি
ধর্ম নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তিগুলো থেকে বুঝা যায়, তিনি ধর্মের ব্যাপার উদারপন্থী ছিলেন। নিম্নে তাঁর কয়েকটি ধর্মীয় বাণী উপস্থাপন করা হল।
“যিনি অস্থিরচিত্ত, যিনি সত্যধর্ম অবগত নন, যার মানসিক প্রসন্নতা নেই, তিনি কখনো প্রাজ্ঞ হতে পারেন না।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“জ্ঞানী ব্যক্তির জয়, অজ্ঞানী ব্যক্তির পরাজয় ঘটে। ধর্মানুরাগী জয়ী হন কিন্তু ধর্ম হিংসাকারীর পরাজয় ঘটে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
.”যিনি যত অধিক ভাষণ করুন না কেন তাতে তিনি ধর্মধর হতে পারেন না। যিনি অল্পমাত্র ধর্মকথা শুনে নিজের জীবনে তা আচরণ করেন এবং ধর্মে অপ্রমত্ত থাকেন তিনিই প্রকৃত ধর্মধর।” ~ গৌতম বুদ্ধ
ধর্ম নিয়ে গুণী ব্যক্তিদের উক্তিগুলো জেনে নিতে পারেন।
হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উক্তি । অমূল্য উপদেশ ও বাণী সমাবেশ
সুফী, দার্শনিক ইমাম গাজ্জালীর উক্তি । জ্ঞান-অন্বেষী জীবনমুখী উপদেশ বাণীসমূহ
পাপ নিয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী
জানতে বা অজান্তে আমাদের দ্বারা পাপ সংঘটিত হয়। ক্ষুদ্র পাপ থেকে পরকাল তো আছেই, বর্তমান কালেও আমাদের কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। পাপ নিয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী আমাদের তাই জানান দেয়।
“কোনো পাপকেই ক্ষুদ্র মনে করো না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপই জমা হতে হতে মূর্খের পাপের ভান্ড পূর্ণ করে ফেলে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ জগতে মাতা ও পিতার সেবা সুখকর। শ্রমণ ও পণ্ডিতদের পরিচর্যা জগতে সুখ দায়ক। বার্ধক্য পর্যন্ত শীল (নীতি) পালন সুখকর। শ্রদ্ধায় প্রতিষ্ঠিত হওয়াই সুখদায়ক। প্রজ্ঞালাভই সুখ জনক, পাপ না করাই সুখাবহ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“অল্প বুদ্ধি সম্পন্ন মূর্খেরা দুঃখদায়ক পাপ কাজের দ্বারা নিজেকে নিজের শক্রুতে পরিণত করে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ মা যেমন তাঁর নিজ পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে তেমনি সকল প্রাণীর প্রতি অপরিমেয় মৈত্রীভাব পোষণ করবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
সুখ নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তি
সুখ মানব জীবনের সবচেয়ে আরাধ্য বিষয়ের একটি। সকলেই সুখের সন্ধানে একটি জীবন পার করে দেয়। সুখ নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তি দ্বারা সুখের সংজ্ঞা আমরা জেনে যাব।
“অনেক মোমবাতি জ্বালাতে আমরা কেবল একটি মোমবাতিই ব্যবহার করি। এর জন্য ওই মোমবাতিটির আলো মোটেও কমে না। সুখের বিষয়টিও এমনই।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“চিন্তার প্রতিফলন ঘটে স্বভাব বা প্রকৃতিতে। যদি কেউ মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুগমন করে। আর কেউ যদি সুচিন্তা নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে সুখ তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সুখ কখনও আবিষ্কার করা যায় না। এটি সবসময় তোমার কাছে আছে এবং থাকবে। তোমাকে কেবল দেখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও বাইরের কোনো উৎস থেকে আসে না।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”কোনো পরিবারকে সুখী ও স্বাস্থ্যবান হতে হলে সবার প্রথমে দরকার অনুশাসন এবং মনের উপর নিয়ন্ত্রণ। যদি কোনো ব্যক্তি নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায়, তাহলে সে আত্মজ্ঞানের রাস্তা অবশ্যই খুঁজে পাবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”অতীত নিয়ে বিভ্রান্ত হয়োনা, ভবিষ্যতের স্বপ্নে হারিয়ে যেওনা, বর্তমানের দিকে মনোযোগ দেও। এটাই সুখী হওয়ার একমাত্র উপায়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”একটা প্রদীপের মাধ্যমে হাজারটা প্রদীপকে জ্বালানো যেতে পারে কিন্তু তাতে সেই প্রদীপের আলো কখনোই কমে যায়না। ঠিক সেইভাবেই খুশিকে সবার সবার মাঝে ছড়ানোর দ্বারা খুশি কখনোই কমে যায়না বরং বেড়ে যায়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“শান্তি মনের ভেতর থেকে আসে, তাই সেটা ছাড়া শান্তির অনুসন্ধান করোনা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“আনন্দ হলো বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলো খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“আরোগ্য পরম লাভ, সন্তুষ্টি পরম ধন, বিশ্বাস পরম জ্ঞাতি, নির্বাণ পরম সুখ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
সুখ নিয়ে অন্যান্য মনীষীদের উক্তিগুলো জেনে নেই।
আলবার্ট আইনস্টাইনের উক্তি । বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তায় মহা-মূল্যবান বাণীসমূহ
ডা. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উক্তি । জীবন সমৃদ্ধ ও দিক নির্দেশক
ভালোবাসা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তি
ভালোবাসার মায়ায় বাঁধা পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভালোবাসা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তিগুলো আমাদের তাঁর সম্পর্কে ভাবতে সাহায্য করবে।
“যে ব্যক্তি মানুষকে ভালোবাসে, সে দুঃখের দ্বারা ঘিরে থাকে এবং যে কাউকে ভালোবাসেনা, তার কোনো সংকট নেই।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”তুমি যদি সত্যিই নিজেকে ভালোবাসো, তাহলে তুমি কখনোই অন্যকে আঘাত দিতে পারবেনা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”নিজের অপার ভালোবাসাকে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দাও।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”ভালোবাসা হলো দুজনের পরিপূর্ণতার জন্য একজনের অন্তর থেকে অন্যকে দেওয়া এক উপহার।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“গোটা দুনিয়া খুঁজে নাও। খুঁজে নাও সেই মানুষটাকে যে তোমার আবেগ ও ভালোবাসার উপযুক্ত। পাবে না। মনে রেখো, তোমার আবেগ ভালোবাসা সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি তুমি নিজেই।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তুমি কতটা ভালোবাসা দিলে, কতটা পূর্ণতার সাথে জীবনকে উপভোগ করলে এবং কতটা গভীরতার সাথে হতাশাকে জীবন থেকে ত্যাগ করলে- এই সবকিছুই সবশেষে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তোমার নিজেরও নিজের কাছে ঠিক ততটাই ভালোবাসা ও স্নেহ প্রাপ্য যতটা এই মহাবিশ্বে অন্য যে কারোর।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”প্রকৃত ভালোবাসার জন্ম হয় বোধশক্তি থেকে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তুমি কতটা ভালোবাসা দিলে, কতটা পূর্ণতার সাথে জীবনকে উপভোগ করলে এবং কতটা গভীরতার সাথে হতাশাকে জীবন থেকে ত্যাগ করলে- এই সবকিছুই সবশেষে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”গোটা দুনিয়া খুঁজে নাও। খুঁজে নাও সেই মানুষটাকে যে তোমার আবেগ ও ভালোবাসার উপযুক্ত। পাবে না। মনে রেখো, তোমার আবেগ ভালোবাসা সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি তুমি নিজেই।” ~ গৌতম বুদ্ধ
ভালোবাসা নিয়ে জ্ঞানী গুণীদের উক্তিগুলো জেনে নেই।
প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে জীবনানন্দ দাশের উক্তি | আলোচিত বাণী সমাবেশ
উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের উক্তি ও বিখ্যাত বাণী সমূহ
বন্ধু নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তি
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে একজন হলেও বন্ধুর প্রয়োজন পড়ে, যাকে আমরা সব জানাতে পারি, সব বিষয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে পারি। বিপদে আপদে সেই আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়। বন্ধু নির্বাচনে তাই আমাদের সচেতন হতে হয়। বন্ধু নিয়ে গৌতম বুদ্ধের অসাধারণ বাণীগুলো আমাদের জন্য কার্যকরী।
“নির্বোধ বন্ধু আদৌ কোনো বন্ধু নয়। নির্বোধ বন্ধু থাকার চেয়ে একা হওয়া অনেক ভালো।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“কোনো হিংস্র পশু অপেক্ষা কোনো শয়তান বন্ধুকে আপনার বেশি ভয় পাওয়া উচিত। কারণ হিংস্র পশু আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে কিন্তু একজন খারাপ বন্ধু আপনার বুদ্ধির ক্ষতি করে দিতে পারে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“বন্ধু এমন একজন যিনি আপনার জীবন সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানেন এবং এখনও আপনাকে ভালবাসেন।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“আপনার প্রয়োজন থেকে নয় সবসময় আপনার হৃদয় থেকে আপনার বন্ধুদের ভালবাসুন।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“জীবনে বহু মানুষ আসবে যাবে, কিন্তু একমাত্র প্রকৃত বন্ধুরাই হৃদয়ে ছাপ রেখে যাবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“জীবনের সবথেকে মূল্যবান উপহার হলো একজন সৎ বন্ধু পাওয়া।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ভালো বন্ধু অনেকটা আকাশের তারার মতন, সবসময় দেখা না গেলেও তুমি জানো যে তারা সাথে আছে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“বন্ধুর সাথে অন্ধকার রাস্তায় চলা, আলোকজ্জ্বল রাস্তায় একা চলার থেকে অনেক ভালো।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“একটি মিষ্টি বন্ধুত্ব আত্মাকে সতেজ করে তোলে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সন্দেহের অভ্যাস সবচেয়ে ক্ষতিকারক, এটা মানুষকে দূষিত করে | সন্দেহ একটা ভালো বন্ধুত্ব ও ভালো সম্পর্কে ধ্বংস করে দেয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“কোনো হিংস্র পশু অপেক্ষা কোনো শয়তান বন্ধুকে আপনার বেশি ভয় পাওয়া উচিত | কারণ হিংস্র পশু আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে কিন্তু একজন খারাপ বন্ধু আপনার বুদ্ধির ক্ষতি করে দিতে পারে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“নির্বোধ বন্ধু আদৌ কোনো বন্ধু নয়। নির্বোধ বন্ধু থাকার চেয়ে একা হওয়া অনেক ভালো।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সন্দেহের অভ্যাস সবচেয়ে ক্ষতিকারক, এটা মানুষকে দূষিত করে | সন্দেহ একটা ভালো বন্ধুত্ব ও ভালো সম্পর্কে ধ্বংস করে দেয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“নির্বোধ বন্ধু আদৌ কোনো বন্ধু নয়। নির্বোধ বন্ধু থাকার চেয়ে একা হওয়া অনেক ভালো।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“কোনো হিংস্র পশু অপেক্ষা কোনো শয়তান বন্ধুকে আপনার বেশি ভয় পাওয়া উচিত | কারণ হিংস্র পশু আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে কিন্তু একজন খারাপ বন্ধু আপনার বুদ্ধির ক্ষতি করে দিতে পারে” ~ গৌতম বুদ্ধ
রাগ নিয়ে উক্তি
“রাগের বশে হাজারও শব্দকে খারাপভাবে বলার থেকে ভালো মৌনতা হচ্ছে এমন একটা শব্দ, যেটা জীবনে শান্তি নিয়ে আসে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তোমার রাগের জন্য তুমি শাস্তি পাবে না, তোমার রাগ দ্বারা তোমার শাস্তি হবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“রাগের সমান অগ্নি নেই। দ্বেষের সমান গ্রাসকারী নেই। মোহের সমান জাল নেই। তৃষ্ণার সমান নদী নেই। তাই রাগ-দ্বেষ-মোহ ও তৃষ্ণা পরিত্যাগ করতে হবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“রণক্ষেত্রে সহস্রযোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“মৈত্রী দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে, সাধুতার দ্বারা অসাধুকে জয় করবে, ত্যাগের দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে ও সত্যের দ্বারা মিথ্যাকে জয় করবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ক্রোধ সংবরণ কর। অহংকার পরিত্যাগ কর। সকল বন্ধন অতিক্রম কর।” ~ গৌতম বুদ্ধ
সত্য নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তি
“যেকোনো অবস্থাতেই এই তিনটে জিনিসকে লোকানো কখনোই সম্ভব নয়, সেটা হলো- সূর্য,চন্দ্র এবং সত্য।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ঘৃনাকে ঘৃনা দিয়ে কখনোই শেষ করা যাবেনা, ঘৃনাকে একমাত্র ভালোবাসার দাড়াই শেষ করা যেতে পারে | আর এটা একটা প্রাকৃতিক সত্য।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“বাস্তব জীবনের সবচেয়ে বড় বিফলতা হলো, আমাদের অসত্যবাদী হয়ে থাকা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“মাতা পিতা, স্ত্রী পুত্রের ভরণপোষন করবে।সত্য বিষয়ে জ্ঞান লাভ করবে। বিবিধ শিল্পশিক্ষা করবে।“ ~ গৌতম বুদ্ধ
”একজন মানুষ যখন কথার পর কথা বলে তখন তাকে জ্ঞানী বলা হয় না ; তবে তিনি যদি শান্তিপূর্ণ , প্রেমময় এবং নির্ভীক হন তবে সত্যই তাকে জ্ঞানী বলা হয় ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
ব্যাথা, রাগ, দুঃখ গৌতম বুদ্ধের উক্তি
“জীবনে ব্যাথা থাকবেই, কিন্তু কষ্টকেই ভালোবাসতে শেখো।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“কাউকে কটুকথা বলবে না, কারণ সেও কটু প্রতুত্তর দিতে পারে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় তোমার জন্যও কষ্টদায়ক হবে।দন্ডের প্রতিদন্ড তোমাকেও স্পর্শ করবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”ভুলকে বার বার স্মরণ করা মানে মনের মধ্যে বড় বোঝা পুষে রাখা ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
মন নিয়ে গৌতম বুদ্ধের উক্তি
“ভালো কাজ সবসময় কর। বারবার কর। মনকে সবসময় ভালো কাজে নিমগ্ন রাখো। সদাচরণই স্বর্গসুখের পথ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সবকিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করো, চিন্তাশীল হও। আগে ভাবো তুমি কী হতে চাও।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“অতীতে বাস করবেন না, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবেন না, বর্তমান মুহুর্তে মনকে কেন্দ্রীভূত করুন।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলোও তোমার দাসত্ব মেনে নেবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“মন ও শরীরের পক্ষে সুস্থ থাকার রাস্তা হলো – অতীতের জন্য শোক না করা আর ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা না করা। বরং বুদ্ধি ও সৎভাবের দ্বারা বর্তমানে বাঁচার চেষ্টা করা।” ~ গৌতম বুদ্ধ
”সব ধর্মের পূর্বগামী, মনই শ্রেষ্ঠ, সকলই মনোময়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“একটি মানুষের মন তার প্রকৃত বন্ধু কিংবা শত্রু হয়ে থাকে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“আলোকিত হতে চাইলে প্রথমে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করো।” ~ গৌতম বুদ্ধ
গৌতম বুদ্ধের উপদেশ বাণী
গৌতম বুদ্ধ জীবনের চরম সুখ থেকে নির্মম সত্য সবই উপলব্দি করেছেন। সেই লব্দ জ্ঞান থেকে প্রাপ্ত গৌতম বুদ্ধের উপদেশ আমাদের জন্য উপকারী।
“যিনি তোমার ক্রুটি প্রদর্শন করেন ও তজ্জন্য ভৎর্সনা করেন সেই মেধাবীকে গুপ্তনিধির ন্যায় জানবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“সকলেই দণ্ডকে ভয় করে, জীবন সকলের প্রিয়। সুতরাং নিজের সাথে তুলনা করে কাউকে প্রহার করবে না কিংবা আঘাত করবে না ।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“মাতা-পিতার সেবা করা, স্ত্রী-পুত্রের উপকার সাধন করা এবং নিষ্পাপ ব্যবসা বাণিজ্য দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করা উত্তম মঙ্গল।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“ধৈর্য হলো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস | মনে রাখবে, একটা কলসি বিন্দু বিন্দু জলের দ্বারাই ভর্তি হয়।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“কাউকে কটুকথা বলবে না, কারণ সেও কটু প্রতুত্তর দিতে পারে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় তোমার জন্যও কষ্টদায়ক হবে।দন্ডের প্রতিদন্ড তোমাকেও স্পর্শ করবে।” ~ গৌতম বুদ্ধ
“তুমি যা ভাবো সেটাই হও, যা অনুভব করো সেটাই আকর্ষণ করো, যা কল্পনা করো তাই সৃষ্টি করো।” ~ গৌতম বুদ্ধ
রাজপুত্র থেকে ফকির সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করা সহজ কোনো বিষয় নয়। সেই অসাধ্য সাধন করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। জীবনের ঘাত প্রতিঘাত সবই দেখেছেন। সহজ সরল জীবনকে বেছে নিয়েছেন। গৌতম বুদ্ধের উক্তি এবং বাণী থেকে আমরা তাঁর জীবনবোধ সম্পর্কে জানতে পারি। তাঁর অসাধারণ জীবনবোধ আমাদের চলার পথের পাথেয়।