হযরত উসমান (রা:) এর মহামূল্যবান বাণী ও উক্তি

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা:) মৃত্যুবরণ করবার পড়ে একটা করুণ সংকটের মুখে ছিল মুসলিম বিশ্ব। সেই সময় যিনি এর হাল ধরেন তিনি হলেন হযরত উসমান (রা:)। তিনি ৫৭৬ খ্রিঃ(যদিও তাঁর জন্মের বয়স এখনো কোনো জাইগায় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখিত হয়নি) জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন ইসলামের তৃতীয় খলিফা। তিনি ৬৪৪  থেকে ৬৫৬ পর্যন্ত খিলাফতে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁর খিলাফত এর সময়কাল ছিল ১২ বছর।
উসমান (রা:)  কুরাইশ বংশেরই মানুষ। কিন্তু নবীর গোত্রের নয়,তার জন্ম মক্কার সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ধনী গোত্র উমাইয়াদের মাঝে। তিনি ছিলেন মক্কার সমাজে একজন ধনী ব্যবসায়ী । তাকে গণি নামে উপধি দেয়া হয়েছিল অর্থাৎ যার অর্থ ধনী।
ইসলাম গ্রহণের পর মুহাম্মদ (সাঃ) তার কন্যা রুকাইয়্যার সাথে তার বিয়ে দেন। হিজরি দ্বিতীয় সনে তাবুক যুদ্ধের পরপর মদিনায় রুকাইয়্যা মারা যায়। এরপর নবী তার দ্বিতীয় কন্যা উম্মে কুলসুমের সাথে তার বিয়ে দেন। এ কারণেই তিনি মুসলিমদের কাছে জুন-নুরাইন বা দুই জ্যোতির অধিকারী হিসেবে খ্যাত। ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জুন হিজরি ৩৫ সনের ১৮ জিলহজ শুক্রবার আসরের নামাজের পর ৮২ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ খলিফাকে অত্যন্ত বর্বরভাবে পবিত্র কোরআন পাঠরত অবস্থায় হত্যা করা হয়।
জীবনবোধ, বাস্তবতা, ইসলাম ও আরো নানা বিষয়ে হযরত উসমান (আঃ) এর উক্তি গুলো নিয়েই থাকছে আত্মপ্রকাশের আজকের আয়োজন।

হযরত উসমান (আঃ) এর মহা -মূল্যবান উক্তি ও বাণী সমূহ।

রচনার ভাগসমূহ

 

হযরত উসমান (আঃ) এর উক্তি ও বাণীগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভাগকৃত অংশে ক্লিক করা মাত্রই চলে যাবেন উক্তি ও বাণীর নির্দিষ্ট অংশে।

[toc]


হযরত উসমান (আঃ) এর উপদেশ 

 

“নিজের বোঝা যতই কম হোক না কেন তা অন্যের উপর চাপাতে চেষ্টা করোনা।”

 

“জিহ্বার স্খলন পদস্খলনের চেয়েও বেশি বিপদজনক।”

হযরত-উসমান-(আঃ)-এর-মানুষের-সচেতনতা-নিয়ে-বাণী-hazarat-osman-quates-on-Awarene-in-bangla-bengali-ukti
হযরত উসমান (আঃ) এর বাণী

 

“মানুষের হক সম্পর্কে যে সচেতন নয় সে আল্লাহর হক সম্পর্কে কখনই সচেতন হতে পারেনা।”

 

“যত দুরবস্থায়ই পতিত হও না কেন আদর্শের ক্ষেত্রে পরাজয় বরণ করোনা।”


হযরত-উসমান-(আঃ)-এর-জীবনবোধ-নিয়ে-উক্তি-ও-বাণী-hazarat-osman-quates-on-life-in-bangla-bangla-bani হযরত উসমান (আঃ) এর উক্তি ও বাণী

“মুখ বন্ধ করে ফেলাই ক্রোধের সর্বোত্তম চিকিৎসা।”“কটুভাষী ব্যক্তি তিন প্রকার লোক কে আহত করে। প্রথমত নিজ আত্বা কে, দ্বিতীয়ত যার প্রতি মন্দ কথা বর্ষীত হয় তাকে, এবং তৃতীয়ত যে তা শুনে তাকে।”

 

হযরত উসমান (আঃ) এর উপদেশ ছাড়াও অন্যান্য মনীষীদের উপদেশ মূলক বাণী গুলো জেনে নিন।

হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উক্তি । অমূল্য উপদেশ ও বাণী সমাবেশ

         মাওলানা তারিক জামিলের উক্তি ও উপদেশ । জীবন সম্পর্কিত অমূল্য জ্ঞান সম্ভার

শেখ সাদীর উক্তি ও উপদেশ বাণী সমূহ । বদলে যাবে জীবন দর্শন

সুফী, দার্শনিক ইমাম গাজ্জালীর উক্তি । জ্ঞান-অন্বেষী জীবনমুখী উপদেশ বাণীসমূহ

শামস তাবরিজির মহা-মূল্যবান উক্তি ও বাণী

ধর্ম নিয়ে হযরত উসমান (আঃ) এর উক্তি  

 

“আমল বিহীন এলেম অনেক সময় উপকারী হতে পারে।”

 

“জান্নাত যথার্থ জানার পরও দুনিয়াতে আরাম আয়েশ তালাশ করে ।শয়তান “কে শত্রু জানার পরও তার অনুসরন করে।”

 

“হে মানব সকল আল্লাহপাক তোমাদিগকে তার আনুগত্যের জন্যই সৃষ্টি করেছেন, তোমরা কিনা অন্যের আনুগত্য করতে উৎসাহ বোধ কর।”

 

“অতিরিক্ত বিনয় মোনাফেকির আলামত।”

 

“দুনিয়াকে যে যত বেশী চিনেছে, সে এর দিক থেকে ততবেশী নিস্পৃহ হয়েছে।”

হযরত-উসমান-(আঃ)-এর-মানুষের-শুকরিয়া-নিয়ে-উক্তি-hazarat-osman-quates-on-gratefulness-in-bangla-min
হযরত উসমান (আঃ) এর বাণী

“আমল বিহীন এলেম অনেক সময় উপকারী হতে পারে, কিন্তু এলেম বিহীন আমল কখনো উপকারী হয় বলে আমার জানা নেই।”

 

“আখেরাতের চিন্তা বাদ দিয়ে যত কিছুই করা হোক তার সবটুকুই দুনিয়াদারী।”

 

“জান্নাতে যাওয়ার পর ক্রন্দন করা যেমন অকল্পনীয় ব্যাপার হবে, তেমনি দুনিয়ার জীবনে হাসিউল্লাসও যে কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তির পক্ষে অচিন্তনীয় ব্যাপার।”

 

“আল্লাহ পাক থেকে যা কিছু আসে তা হৃষ্টচিত্তে মেনে নিতে পারলে দুনিয়াই তার জন্য জান্নাত হয়ে যায়।”

হযরত-উসমান-(আঃ)-এর-মানুষের-আখেরাত-নিয়ে-উক্তি-hazarat-osman-quates-on-Hereafter-in-bangla-bangla-bani-
হযরত উসমান (আঃ) এর উক্তি ও বাণী

 

 ধর্ম নিয়ে হযরত উসমান (আঃ) এর উক্তি ছাড়াও অন্যান্য মনীষীদের উক্তি ও বাণী গুলো জেনে নিন।

হযরত আলী (রাঃ) এর উক্তি । অমূল্য বাণী সমাবেশ

হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উক্তি । অমূল্য উপদেশ ও বাণী সমাবেশ

হযরত সোলাইমান (আঃ) এর মহামূল্যবান উক্তি ও বাণী

 

উসমান (আঃ) এর জীবনবোধ নিয়ে উক্তি

“পার্থিব জীবনের ভোগ বিলাশ অনন্ত জীবনের প্রাপ্য হ্রাস করে দেয়।”

 

“শান্তির সাথে জীবন যাপন করার পরও যে ব্যক্তির আকাঙ্খা মিটে না, তার পক্ষে তৃপ্ত হওয়া সম্ভব না।”

হযরত-উসমান-(আঃ)-এর-আমল-ও-এলেম-নিয়ে-উক্তি-hazarat-osman-quates-on- Flair-in-bangla-bengali-bani-min
হযরত উসমান (আঃ) এর উক্তি

“পোষ্যদের জন্য যে ব্যক্তি মেহনত করে সে মেহনত জেহাদেরত ব্যক্তির পুন্যের সমান।”

 

“জিহ্বার স্খলন পদস্খলনের চেয়েও বেশী বিপদজনক।”

 

হযরত উসমান (আঃ) সবসময় ন্যায়ের পথে থাকতেন । তিনি তাঁর জীবন মোহাম্মদ (সাঃ) এর নীতিতে পরিচালিত করেছেন।
তিনি যেদিন খলিফা হিসাবে নির্বাচিত হন, সেদিনও তিনি সর্বোত্তম ব্যক্তি ছিলেন। আর যখন তাকে হত্যা করা হয়, সেদিনও তিনি উত্তম ছিলেন। তিনি সবসময় বাতিলদের বিরোধীতা করতেন, এবং তিনি সবসময় তাঁর হকের উপর থাকতেন। তিনি ছিলেন সম্পূর্ন রক্তপাতের বিরোধী। কিন্তু তবুও তাকে মিসর, বসরা ও কুফার বিদ্রোহী গোষ্ঠী এক হয়ে ৮২ বছর বয়সে তাকে কুরয়ান পাঠ্রত অবস্তায় তাকে হত্যা করে।

Ashraful Asif

https://attoprokash.com/

আমি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস এন সিরামিক এ সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আমি পলিটেকনিকের ছাত্র তাই বলে আমি কিন্তু লিখালেখি বা গল্পের বই পড়তে ভুলি না। আমি আমার ধর্ম ইসলাম নিয়ে লিখতে খুবই ভালোবাসি। তাছাড়া আমিও সাহিত্যে নিয়ে ভাবতে খুবই পছন্দ করি। বর্তমান সময়ে পড়া বই গুলোর মধ্যে সাদাত হোসাইন এর বই গুলো আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *