আহমদ ছফা ছিলেন একজন বিখ্যাত গুণী চিন্তাবিদ। তিনি ৩০ জুন,১৯৪৩ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার চন্দলাইশ উপজেলায় জন্ম গ্রহন করেন। তিনি পেশায় ছিলেন একজন লেখক ও কবি। তাছাড়া তিনি ছিলেন গণবুদ্ধিজীবী। তিনি খুবই মৌলবাদী ছিলেন। তিনি কোনো কথা বলতে কাউকে ভয় পেতেন না। তিনি যেইখানে অন্যায় দেখতেন সেই অন্যায় এর প্রতিবাদ করতেন। শুনা যেতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাঁর নৈতিকতার অণুসরন করতো তাঁকে মীর মোশারফ, সলিমুল্লাহ খান, জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল রাজ্জাক, কাজী নজরুল ইসলাম এর মতো বিখ্যাত ইসলামিক কবিদের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাজ্ঞালী মুসলিম লেখক বলা হতো। তিনি প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা ইত্যাদি লিখতেন। সেইসব লিখার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বই বা রচিত গ্রন্থ হলো বাজ্ঞালী মুসলমানের মন, বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস, অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী, ইত্যাদি উপন্যাস ছাড়াও তিনি আরও অনেক বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি তাঁর চিন্তা ভাবনার ও তাঁর জগৎ বিখ্যাত লেখার কারনে ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। অবশেষে তিনি ২৮ জুলাই ২০০১ সালে ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন। আত্মপ্রকাশ এর আজেকের আয়োজনে থাকছে বিখ্যাত কবি ও গণবুদ্ধিজীবী আহমদ ছফার বিখ্যাত উক্তি ও বাণী।
বিখ্যাত চিন্তাবিদ আহমদ ছফার বিখ্যাত ও মূল্যবান উক্তি সমূহ
আহমদ ছফার উক্তি ও বাণীগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ভাগকৃত অংশে ক্লিক করা মাত্রই চলে যাবেন উক্তি ও বাণীর নির্দিষ্ট অংশে।
রচনার ভাগসমূহ
জীবনবোধ নিয়ে উক্তি
বিখ্যাত চিন্তাবিদ আহমদ ছফা জীবনবোধ নিয়ে অনেক উক্তি রেখে গিয়েছেন যার মধ্যে বাছাইকৃত কিছু উক্তি এখানে আমরা এনেছি। যা আমাদের জীবন বদলাতে হয়তবা অনেক সাহায্যে করতে পারে। জীবনবোধ নিয়ে আহমদ ছফার উক্তি গুলো নিচে উপস্থাপন করা হলো।
“জীবন সম্ভবত এ রকমই! আঘাত যত মারাত্মক হোক, দু:খ যত মর্মান্তিক হোক,একসময় জীবন সবকিছু মেনে নেয়। দুনিয়াতে সবচাইতে আশ্চর্য মানুষের জীবন।”
-অলাতচক্র(পৃ:৭০) -আহমদ ছফা
“সমস্ত সাফল্য এবং প্রতিষ্ঠার পেছনে সব সময় এক ধরনের নিষ্ঠুরতা আত্নগোপন করে থাকে!”
– মরণবিলাস (পৃষ্ঠা ৪৮) -আহমদ ছফা
আহমদ ছফার উক্তি
“আমার নিজের কাজের মূল্য আছে, তার স্বীকৃতি অন্যেরা দিতে কুণ্ঠিত হয়,আমি বসে থাকবো কেনো? কেউ না দেখুক, আমি তো নিজে আমাকে দেখছি!”
“পৃথিবী থেকে সাপ এবং শকুনের বিশেষ প্রজাতি বিলুপ্ত হলে কোনো ক্ষতি -বৃদ্ধি হবেনা, একেক টাইপের মানুষের মধ্যে এই সাপ -শকুনেরা নতুন জীবনলাভ করে বেঁচে থাকবে!”
-অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী(পৃষ্ঠা ৮৯) -আহমদ ছফা
“আমার সম্বন্ধে সবচাইতে ট্রাজেডি হলো, আমি নিজের মধ্যে ডুবতে পারিনি।” -আহমদ ছফা
“মাজারে মানুষ আসবেই। মানুষ আসবে কারণ সে দুর্বল, অসহায় এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী।” -আহমদ ছফা
“লোকেও যাই বলুক, যাই অনুভব করুক, নিজের কাছে আমি অনন্য।” -আহমদ ছফা
আহমদ ছফার উক্তি
“আপাতদৃষ্টিতে পাগলেরাই অনেক বেশি তীক্ষ্ণদৃষ্টির অধিকারী।” -আহমদ ছফা
“আমার কাছে ঈশ্বর-চিন্তা আর মানুষের অমরতার চিন্তা সমার্থক। কেউ যদি আমাকে আস্তিক বলেন বিনা বাক্যে মেনে নেব। আমি আস্তিক। যদি কেউ বলেন নাস্তিক আপত্তি করব না। আস্তিক হোন, নাস্তিক হোন, ধর্মে বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি কোন বিবাদের হেতু দেখতে পাইনে। আমার অভীষ্ট বিষয় মানুষ, শুধু মানুষ। মানুষই সমস্ত বিশ্বাস, সমস্ত মূল্যচিন্তা, সমস্ত বিজ্ঞানবুদ্ধির উৎস। ”
-আহমদ ছফা
“মানুষ তো নিজের অজান্তে ও অনেক জঘন্য অপরাধ করে বসে। সমস্ত ধর্মতো পাপ বোধের ওপরই প্রতিষ্ঠিত। যেহেতু মানুষ হিসাবে তোমাকে জন্ম নিতে হয়েছে তাই, তুমি পাপী !”
-অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী (পৃঃ৪০)-আহমদ ছফা
জীবনবোধ নিয়ে আহমদ ছফা ছাড়াও আরোও অনেকের বিখ্যাত উক্তি ও বাণী গুলো জেনে নিন।
জীবন চলার পথে আমরা সবাই হতাশাই পরি। হতাশা নিয়ে বাছাইকৃত উক্তি গুলো জেনে নিন। যা আমাদের হতাশার সময় কাজে দিতে পারে।
“আমাদের জাতীয় মূলধন হতাশা!”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা:বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (পৃষ্ঠা ৯২) -আহমদ ছফা
“বেশি খাওয়া এবং একেবারে না খাওয়ার হতাশায় পীড়নে আমাদের সমাজ উত্থান শক্তিহীন।”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা:বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (পৃষ্ঠা ৯২) -আহমদ ছফা
আহমদ ছফার বিখ্যাত উক্তি
“আমাদের সমাজে অফুরন্ত শক্তি এবং অনন্ত সম্বাবনার আধারে অমৃতের পুত্র,অমৃতের সহোদর মানুষের জীবনই সবচাইতে ঘৃণিত, অবহেলিত এবং অনিশ্চিত। সর্বক্ষেত্রে মানুষ লাঞ্চিত, অপমানিত,এবং নিগৃহীত হচ্ছে।”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা:বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (পৃষ্ঠা ৯২) -আহমদ ছফা
“একটি কাক আরেকটি কাকের মুখের খাবার কেড়ে নেয়ার জন্য যতরকম ধূর্ততার আশ্রয় নিয়ে থাকে, একজন কবি আরেকজন কবির প্রাপ্য সম্মানটুকু কেড়ে নেয়ার জন্য তার চাইতে কিছু কম করে না।” -আহমদ ছফা
বাস্তবতা নিয়ে উক্তি
বাস্তবতা নিয়ে আহমদ ছফার বিখ্যাত উক্তি গুলোর মধ্যে থেকে বেশ জনপ্রিয় ও মূল্যবান উক্তি গুলো বাছাই করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হলো, যা আমদের চলার পথে অনেক পাথেয় হতে পারে। বাস্তবতা নিয়ে সেই উক্তি গুলো নিচে উপস্থাপন করা হলো।
“এক ধর্ম, এক সম্প্রদায়ের অনাচারের বিরুদ্ধে অন্য সমাজের মানুষের কিছু না বলাও আরেক ধরনের সাম্প্রদায়িকতা।”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা :বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (পৃষ্ঠা ৮৪) -আহমদ ছফা
“নিজের জ্ঞান থাকলে সে জ্ঞানের অংশভাগী না করাও মানুষের প্রতি আরেক ধরণের কপটতা।”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা :বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (পৃষ্ঠা ৮৪) -আহমদ ছফা
আহমদ ছফার বিখ্যাত উক্তি
“আমি আর আপনি করলে যা অপকর্ম হয়,মহাপুরুষেরা করলেই সেসব লীলা হয়ে দাঁড়ায়!”
-অলাতচক্র(পৃষ্ঠা ২১) -আহমদ ছফা
“কবি,সাহিত্যিক, লেখকেরা গর্ভিণী নারীর মত। তারা জাতি গড়ে ওঠার, বেড়ে ওঠার, বেঁচে থাকার ভ্রণকণা অন্তর্লোকে ধারণ করে থাকেন। জাতীয় জীবনে যা ঘটে গেছে অতীতে, তারা ভাবের আবেশে সামনের দিকে অঙুলি নির্দেশ করে বলে ফেলেন -এই -ই হতে যাচ্ছে এবং এই-ই হবে।”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা:বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (পৃষ্ঠা ৬২) -আহমদ ছফা
“বস্তুত: বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য গীতাঞ্জলি নয়,বলাকা নয়,সোনারতরী নয়, ‘আর দাবায়ে রাখতে পারবানা’। সহস্রাধিক বছরের পরাধীন জীবনের অস্তিত্বের প্রতি সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়ে এই উচ্চারণের মাধ্যমে গোটা জাতির চিত্তলোকে তিনি এমন একটা অনমনীয় আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি করেছিলেন যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরাট এক প্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে। এই গৌরব শেখ মুজিবুর রহমানকে অবশ্যই দিতে হবে।”
-শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য প্রবন্ধ ( পৃষ্ঠা ২১) -আহমদ ছফা
“কি পরিমাণ লুণ্ঠণের সুযোগ পেলে মাত্র বিশ হাজার টাকার পরিমাণ সম্পদের মালিক একশ কোটি টাকার মালিক হতে পারে, বাংলাদেশ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা :বৃদ্ধিবৃতির নতুন বিন্যাস (প্রকাশ, ১৯৭২সাল ;পৃষ্ঠা ৩১) -আহমফ ছফা
“মানুষ যখন নিজের উপর সুবিচার করতে পারে না, তখন এটা ওটা করে মানসিক ক্ষতি পূরণ করার চেষ্টা করে।” -আহমদ ছফা
“যে যে জাতি উন্নত বিজ্ঞান, দর্শন এবং সংস্কৃতির স্রষ্টা হতে পারে না, অথবা সেগলোকে উপযুক্ত মূল্য দিয়ে গ্রহণ করতে পারে না, তাকে দিয়ে উন্নত রাষ্ট্র সৃষ্টিও সম্ভব নয়।”
-আহমদ ছফা
আহমদ ছফার বিখ্যাত উক্তি
“কম্যুনিজম মানুষকে নতুনভাবে দাসত্ব করতে শেখায়। কিন্তু তারপরও মার্কস পৃথিবীতে একজন মহান ব্যক্তি হিসেবে থেকে যাবেন।” -আহমদ ছফা
“মানুষ খুব অসহায়। মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলেও কি হবে, মানুষ খুব মূল্যহীন। এগুলো নিয়ে খুব আস্ফালন করার কিচ্ছু নেই।মানুষ পৃথিবী থেকে অনেক কিছু শিখে। কিন্তু মানুষ আরেকটা জিনিস শিখে না, বিনীত হওয়া শিখে না। ” -আহমদ ছফা
“বড় বড় নামকরা স্কুলে বাচ্চারা বিদ্যার চাইতে অহংকার টা বেশি শিক্ষা করে। ” -আহমদ ছফা
বাস্তবতা নিয়ে আহমদ ছফা ছাড়াও আরোও অনেকে বেশ মূল্যবান উক্তি দিয়েছেন। জেনে নিন সেই সব উক্তি গুলো।
“যাদের ভয়ংকর প্রগতিশীল মনে করে সভা করে গলায় মালা দুলিয়ে দিই,তারাও কুসংস্কারাচ্ছন্ন। ভালো করে টিপে দেখুন, দেখবেন, মানুষ -পঁচা গন্ধ বেরোয়। ভেতরে নোংরা, ওপরের চটকদার চেহারাটুকুই চোখে পড়ছে। রাজনীতিবিদেরা যুবকদের সমাজ পরিবর্তনের কাজে না লাগিয়ে , তোষামোদের কাজে লাগিয়েছে। তাতে করে যুবশক্তির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। এ স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ থেকে বাঁচতে হলে একেকজন যুবককে একেকটি পারমানবিক বোমার মতো বিস্ফোরণক্ষম হতে হবে।”
-নিহত নক্ষত্র (পৃষ্ঠা২৭). -আহমদ ছফা
“নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তন যদি না আনতে পারি, অন্য সবাইকে পরিবর্তিত হতে বলার কোনো অর্থই থাকে না।” -আহমদ ছফা
“জীবনের কাছে আমার প্রার্থনা, হে জীবন, তুমি যদি দ্রুত পাখি ঈগলের মতো অভীষ্ট অভিমুখে বাতাসে ভর না করে ছুটতে না পারো, সেইখানেই থেমে যেয়ো। কর্মহীন, গর্বহীন আমাকে কেউ যেনো জীবিত দেখতে না পায়।” -আহমদ ছফা
“কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট।” -আহমদ ছফা
আহমদ-ছফার-মৌলবাদী-নিয়ে-বাণী
“আমাদের দেশের পূর্বসুরী বলতে যাদের বোঝায়, তাদের মধ্যে জ্ঞানে, গুণে – কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পী, বিজ্ঞাণীদের মধ্যে এমন কোন বড় বিশ্বমাপের লোক নেই যাদের চিন্তাধারা অনুসরণ করে বেশীদূর এগিয়ে যাওয়া যাবে। সুতরাং “নেই” এটা মেনে নিয়ে কাজ করলে সুফল পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কুয়াসার চাইতে অন্ধকার ভালো ” -আহমদ ছফা
উপদেশ নিয়ে আহমদ ছফা ছাড়াও আরোও অনেকে বেশ মূল্যবান উক্তি দিয়েছেন। জেনে নিন সেই সব উক্তি গুলো।
ক্ষ্মমতা কারোও কাছেই চিরস্থায়ী ভাবে থাকে না। তাই আমাদের কখনই ক্ষ্মমতার অপব্যবহার করতে নেই। ক্ষ্মতা নিয়ে আহমদ ছফার বিখ্যাত উক্তি গুলো জেনে নিন
“পৃথিবীর যাবতীয় জিনিসের বদল হয় প্রাকৃতিক নিয়মে আর আমাদের দেশের পণ্ডিতদের প্রভূ বদল হয় ক্ষমতার নিয়মে!”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা:বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (পৃষ্ঠা ৭৯) -আহমদ ছফা
“প্রতিভাহীন ব্যক্তির ক্ষতি করার ক্ষমতা অল্প। প্রতিভাবান ব্যক্তি বুদ্ধি খাটিয়ে ইচ্ছে করলে খৈ খাওয়ার জন্য ধানের গোলায় আগুন লাগাতে পারে!”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা:বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (৬১ পৃষ্ঠা) -আহমদ ছফা
মৌলবাদী উক্তি
আহমদ ছফার মৌলবাদী উক্তি গুলো জেনে নিন। যা থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে।
“যে কোনো দেশের বুদ্ধিজীবীরা যদি রাস্ট্রযন্ত্রের অনাচার -অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে অসন্মত হন সেই দেশটির দুর্দশার অন্ত থাকেনা। বাংলাদেশ সেইরকম একটা দেশ। এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উদ্যোগ, প্রয়াস কোথাও পরিদৃশ্যমান নয়।”
-সাম্প্রতিক বিবেচনায় :বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (পৃষ্ঠা ৯) -আহমদ ছফা
আহমদ ছফার বিখ্যাত বাণী
“বোকা লোকেরা বোকামীতে ভয়ানক চালাক। তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বোকামীতে টিকিয়ে রাখতে চায়।” -আহমদ ছফা
“যারা মৌলবাদী তারা শতকরা একশ ভাগ মৌলবাদী। কিন্তু যারা প্রগতিশীল বলে দাবি করে থাকেন তাদের কেউ কেউ দশ ভাগ প্রগতিশীল, পঞ্চাশ ভাগ সুবিধাবাদী, পনের ভাগ কাপুরুষ, পাঁচ ভাগ একেবারে জড়বুদ্ধি সম্পন্ন।”
-সাম্প্রতিক বিবেচনা :বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (পৃষ্ঠা ১০)
-আহমদ ছফা
আহমদ ছফা একজন সনাম ধন্যে বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তাঁর সময়ের গুনীব্যক্তিরা তাঁকে অনুসরন করতেন। তিনি তাঁর প্রখর মেধা শক্তি এবং লেখনি শক্তি দিয়ে সমাজকে বদলে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি আমাদের উপহার দিয়েগেছেন অনেক মূল্যবান কবিতা, উপন্যাস, গল্প ইত্যাদি।
আমি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস এন সিরামিক এ সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আমি পলিটেকনিকের ছাত্র তাই বলে আমি কিন্তু লিখালেখি বা গল্পের বই পড়তে ভুলি না। আমি আমার ধর্ম ইসলাম নিয়ে লিখতে খুবই ভালোবাসি। তাছাড়া আমিও সাহিত্যে নিয়ে ভাবতে খুবই পছন্দ করি। বর্তমান সময়ে পড়া বই গুলোর মধ্যে সাদাত হোসাইন এর বই গুলো আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে।