আডলফ হিটলারের বাণী । আলোচিত, সমালোচিত এবং জনপ্রিয় উক্তি সমাবেশ
আডলফ হিটলার ২০শে এপ্রিল ১৮৮৯ সালে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং অস্ট্রীয় ও জার্মান উভয় দেশেই তার নাগরিকত্ব ছিল । ১৯২৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রীয়; ১৯৩২-এর পর জার্মান ছিলেন। এডলফ হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং তিনি ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির ফিউরার ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স এবং রাজনৈতিক দল/পার্টি (এনএসডিএপি)। তিনি পেশায় লেখক, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রপ্রধান, চিত্রশিল্পী ছিলেন। তিনি জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় যুদ্ধের সময় মিত্র শক্তির কাছে পরাজিত হন। তিনি ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরার বাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে বার্লিন, জার্মানিতে অ্যাডলিফ হিটলার মৃত্যুবরন করেন। হিটলারের উক্তি নানা সময় বিভিন্ন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। জীবনকে অন্য দৃষ্টিতে দেখা আডলফ হিটলারের বাণী নিয়েই আত্মপ্রকাশের আজকের আয়োজন।
আডলফ হিটলারের বাণী ও উক্তি সমাবেশ
রচনার ভাগসমূহ
আডলফ হিটলার, তাঁর শাসন আমল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত একটি জনপ্রিয়, আলোচিত এবং বিতর্কিত নাম। তাঁর শাসন আমল ছিল জার্মানবাসীর জন্য গৌরব উজ্জ্বল এবং শত্রুপক্ষের জন্য ত্রাস। একনায়ক তান্ত্রিক হিটলার ছিলেন প্রচণ্ড ইহুদি বিরোধী। ইহুদিদের প্রতি তাঁর নৃশংসতা বিশ্ববাসীর অজানা নয়। তথাপি আডলফ হিটলারের বাণী এবং জনপ্রিয় উক্তিগুলোতে আমরা অন্য হিটলারকে খুঁজে পাই।
রাজনীতি নিয়ে হিটলারের বাণী
আডলফ হিটলার জীবনকে সর্বদা যুদ্ধের ময়দান হিসেবে দেখেছেন। যুদ্ধ এবং রাজনীতিকে এক কাতারে নিয়ে এসে তিনি দেশ শাসন করেছেন। তাঁর রাজনৈতিক উক্তিগুলো নিষ্ঠুর হলেও টিকে থাকার একমাত্র উপায় হিসেবে দেখেছেন। রাজনীতি নিয়ে আডলফ হিটলারের বাণী নিম্নরুপ।

“আমি চাইলে সব ইহুদীদের হত্যা করতে পারতাম। কিন্তু কিছু ইহুদী বাচিয়ে রেখেছি,,এই জন্যে যে, যাতে পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে, আমি কেন ইহুদী হত্যায় মেতেছিলাম।”
“ভালোবাসা না করে যুদ্ধে যাও,হয় তুমি জয়ী হবে না হলে মরবে। কিন্তু ভালোবাসায় পরাজিত হলে না পারবে তুমি বেঁচে থাকতে না পারবে মরে যেতে।”
“সন্ত্রাস, নাশকতা, হত্যা এবং বিস্ময়ের মধ্য দিয়ে শত্রুর মনোবল ভেঙে দাও, এটাই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ।”
“একজন খ্রিস্টান হিসেবে প্রতারিত হওয়া আমার কর্তব্য নয়, কর্তব্য হলো সত্য এবং ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করা।”

“জার্মানি হবে পৃথিবীর সর্বশক্তিমান নয়তো কিছুই নয়।”
“শক্তি প্রতিরোধে নয়, আক্রমণেই প্রকাশিত হয়।”
“যারা বাঁচতে চায়, তারা লড়াই করে বাঁচুক। আর যারা লড়তে চায় না, তাদের বাঁচার কোন অধিকার নেই।”
“শক্তি প্রতিরোধে নয়, আক্রমণেই প্রকাশিত হয়।”
রাজনীতি নিয়ে অ্যাডলফ হিটলারের বাণী ও উক্তিগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাণীগুলো জেনে নিন।
চাণক্যের নীতি । আলোচিত ও বাছাইকৃত বাণী, শ্লোক ও উক্তি সমাবেশ
মার্টিন লুথার কিং উক্তি । জনপ্রিয় এবং আলোচিত বাণী সমাবেশ
আডলফ হিটলারের উক্তি ও জীবনবোধ বাণী
ঐতিহাসিক জীবনের অধিকারী হিটলার, জীবনকে দেখেছেন একদম ভিন্ন চোখে। তাঁর শুরুর জীবনের সংগ্রাম থেকে তিনি শিক্ষা নিয়েছেন এবং সেটার প্রতিফলন আমরা তাঁর পরবর্তী জীবনে দেখেছি। আডলফ হিটলারের জীবন সম্পর্কে জানতে পাঠককে তাঁর রচিত ডায়রী মেইন ক্যাম্প পড়ার অনুরোধ থাকলো। জীবন নিয়ে হিটলারের বাণী ও অন্যান্য উক্তিগুলো থেকে হিটলারের জীবনদর্শন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাবেন।

“যদি সূর্যের মত আলো ছড়াতে চাও আগে এর মত জ্বলতে হবে।”
“মিথ্যা যত বড়, লোকে তা বিশ্বাস করার সম্ভাবনা তত বেশি।”
“যে যুবক ভবিষ্যৎকে জয় করে, সে হয় একা।”
“যে ব্যাক্তি আকাশকে সবুজ দেখে এবং জমিনকে আঁকে নীল রঙে তাকে নপংসুক করে দেয়া কর্তব্য।”
“যদি কোন মিথ্যাকে তুমি বারবার এবং সাবলীলভাবে বলতে পারো তবেই তা বিশ্বাসযোগ্য হবে।”

“কে বলেছে আমি ঈশ্বরের দ্বারা সুরক্ষিত নই।”
“মানুষ হয়ত সবসময় তোমার মুখের কথায় বিশ্বাস করবে না, কিন্তু তোমার কাজে তারা সবসময়ই বিশ্বাস করবে।”
“যার কোন সমস্যা নেই, তাকে কখনো বিশ্বাস করবে না।”
“জীবন আয়নার মত। তুমি ভেংচি কাটলে এটাও তোমাকে ভেঙ্গাবে, তুমি হাসলে এটা তোমাকে অভিবাদন জানাবে।”
“যে কোন ঝামেলা ছাড়াই জেতে সে বিজেতা, কিন্তু যে শত ঝামেলা সামলে জেতে সে ইতিহাস রচয়িতা।”

“একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও।”
“বিজয়ীকে কেউ কখনো জিজ্ঞাসা করেনা সে সত্য বলছে কিনা।”
“যদি বড় কোন মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাও, সহজ ভাবে এটাকে বলো, বারবার বলতে থাকো, একসময় দেখবে সবাই এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।”
“অপছন্দের চেয়ে ঘৃণার স্থায়িত্ব বেশি।”
জীবন নিয়ে আডলফ হিটলারের উক্তি সমূহের পাশাপাশি অন্যান্য মনীষীদের বাণী জেনে নিতে পারেন।
মাদার তেরেসার উক্তি । জীবনবোধ সঞ্জীবনী বাণী সমাবেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের উক্তি ও প্রচলিত বাণী সমাবেশ ।
ভালোবাসা নিয়ে আডলফ হিটলারের বাণী
আডলফ হিটলার ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মৃত্যুর ২৪ ঘন্টারও কম সময় আগে। কিন্ত তিনি ভালোবাসা থেকে যুদ্ধকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। তা তাঁর উক্তি থেকেই অনুভূত। ভালোবাসা নিয়ে হিটলারের বাণী গুটিকয়েক, তাই উল্লেখ করা হলো।

“অপছন্দের চেয়ে ঘৃণার স্থায়িত্ব বেশি।”
“আমি তোমাদের ভালোবাসায় না গিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, কারন যুদ্ধে তুমি হয় বাঁচবে না হয় মরবে, কিন্তু ভালোবাসলে না পারবে বাঁচতে না পারবে মরতে।”
ভালোবাসা নিয়ে হিটলারের উক্তির পাশাপাশি অন্যান্য হৃদয়বান গুনী ব্যক্তিদের উক্তিগুলো জেনে নিন।
সক্রেটিসের দর্শন । আলোচিত এবং বিখ্যাত সক্রেটিসের উক্তি ও বাণীসমূহ
উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের উক্তি ও বিখ্যাত বাণী সমূহ
রাজনৈতিক হিটলার সমালোচিত হলেও ব্যক্তি হিটলার ছিলেন নানা গুণে পারদর্শী। তিনি চিত্রকলায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি দেশ পরিচালনা এবং যুদ্ধ রণকৌশলে বিশেষ বিজ্ঞ ছিলেন। ব্যক্তি হিসেবে তিনি যেমনি হোক না কেন হিটলারের বাণী এবং অন্যান্য জনপ্রিয় উক্তিগুলোর মাধ্যমে আমরা তাঁর অন্য পরিচয় খুঁজে পাই।