তসলিমা নাসরিনের উক্তি এবং কবিতাংশ । আলোচিত ও বিতর্কিত বাণী সমাবেশ
আলোচিত এবং বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬২ সালের ২৫ আগষ্ট। নারীবাদী এবং ধর্মীয় উগ্রবাদী নানা রচনার কারনে তিনি দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। যদিও ধর্মীয় উগ্রবাদী লেখার কারণে তিনি মৌলবাদীদের রোষানলে পড়েন এবং ১৯৯৪ সালে দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। তিনি বর্তমানে(২০১৯) ভারতে বসবাস করছেন। তাঁর লেখার মধ্যে বারবার ফুটে উঠেছে নারীমুক্তি এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ। অনেক পাঠকের মন জয় করার পাশাপাশি, হয়েছেন অনেকের রোষানলের স্বীকার। তাঁর অসংখ্য বিতর্কিত উক্তি, কবিতা, উপন্যাস একদিকে যেমন সুনাম কুড়িয়েছে, পাশাপাশি বয়ে এনেছে চরম ঘৃনা। পেশাগত জীবনে সাহিত্যিকের পাশাপাশি চিকিৎসক ছিলেন। তসলিমা নাসরিনের উক্তি, বিতর্কিত কবিতাংশ নিয়েই আত্মপ্রকাশের আজকের আয়োজন।
তসলিমা নাসরিনের উক্তিগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
মেয়ে/নারী নিয়ে উক্তি
রচনার ভাগসমূহ
নারী এবং মেয়ে স্বত্বা নিয়ে লিখেননি এমন সাহিত্যিক খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য কাজ। মেয়ে এবং নারী নিয়ে তসলিমা নাসরিনের উক্তি গুলো অন্য ধারার সৃষ্টি করেছে।
“পৃথিবীর ইতিহাসে, কোনও অন্ধকার সমাজে যখনই কোনও নারী পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে উঠেছে, নিজের স্বাধীনতার কথা বলেছে, ভাঙতে চেয়েছে পরাধীনতার শেকল, তাকেই গালি দেওয়া হয়েছে পতিতা বলে।”
“নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে সামান্য সচেতন হলে মেয়েরা নিশ্চয়ই বুঝত যে জগতে যত নির্যাতন আছে মেয়েদের বিরুদ্ধে, সবচেয়ে বড় নির্যাতন হল- মেয়েদের সুন্দরী হওয়ার জন্য লেলিয়ে দেওয়া”।
“ ও মেয়ে, শুনছ !
বাইরে খানিক মেলে দাও তো এসব
দুঃখ তোমার একদম গেছে ভিজে…
হাওয়ার একটি গুণ চমৎকার
কিছু দুঃখ উড়িয়ে নেয় নিজে।”
“ ও কী গুণছ !
দিন!
দিন তো যাবেই ! দুঃখপোষা মেয়ে !
শুকোতে দাও স্যাঁতস্যাঁতে এ জীবন
রোদের পিঠে, আলোর বিষম বন্যা
হচ্ছে দেখ, নাচছে ঘন বন…
সঙ্গে সুখী হরিণ। ”
“তুমি মেয়ে,
তুমি খুব ভাল করে মনে রেখো
তুমি যখন ঘরের চৌকাঠ ডিঙোবে
লোকে তোমাকে আড়চোখে দেখবে।
তুমি যখন গলি ধরে হাঁটতে থাকবে
লোকে তোমার পিছু নেবে, শিস দেবে।
তুমি যখন গলি পেরিয়ে বড় রাস্তায় উঠবে
লোকে তোমাকে চরিত্রহীন বলে গাল দেবে।
যদি তুমি অপদার্থ হও
তুমি পিছু ফিরবে
আর তা না হলে
যেভাবে যাচ্ছ, যাবে।”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের উক্তি, তাঁর রচিত ‘চরিত্র‘ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“যে সমাজে শিক্ষিত, স্বনির্ভর, সচেতন মেয়ের সংখ্যা বেশি, সেই সমাজে বিচ্ছেদের সংখ্যাটা বেশি, বিয়ের সংখ্যাটা কম।”
কাজী নজরুল ইসলামের নারী বিষয়ক উক্তিগুলো পড়ে নিন >> কাজী নজরুল ইসলামের নারী উক্তি
আলোচিত এবং বিতর্কিত উক্তি
কোনো কিছু লিখলেই আলোচিত এবং বিতর্কের কারণ হওয়া খুব কম লেখকের মধ্যে তসলিমা নাসরিন একজন। তাঁর বিতর্কিত উক্তি এবং বাণী সমূহ একদিকে যেমন গায়ে কাঁটা দিবে, অন্যদিকে বাস্তব কিছু চরিত্রকের তুলে ধরবে। পাশাপাশি দেখা মিলবে প্রচলিত সমাজের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
“পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবে, তাদের স্তন সবাই দেখবে”।
“হে নারী, কেউ যদি তোমাকে ধর্ষণ করতে আসে, তুমিও তাকে ধর্ষণ করে দাও। পুরুষদের দেখিয়ে দাও, ধর্ষণ শুধু তারা নয়, তোমরাও পারো।”
“যৌন উত্তেজনা বেড়েছে তোমার, সে তোমার সমস্যা, আমার নয়। তোমার সেটি বাড়ে বলে আমার নাক চোখ মুখ সব বন্ধ করে দেবে, এ হতে পারে না। আমি তোমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নই যে তুমি আমাকে আদেশ দেবে আমি কি পরবো, কীভাবে পরবো, কোথায় যাবো, কতদূর যাবো। তোমার সমস্যার সমাধান তুমি করো। আমাকে তার দায় নিতে হবে কেন! যৌন উত্তেজনা আমারও আছে, সে কারণে তোমার নাক চোখ মুখ ঢেকে রাখার দাবি আমি করিনি”।
“আমার সংজ্ঞায় চরিত্রহীনতার সঙ্গে যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক আছে শঠতা, নীচতা, অসততা, মিথ্যে, প্রতারণা, ছলনা, চাতুরীর সঙ্গে”।
“বাংলাদেশ আর ভারতকে ভাগ করলে চলবে? ভাগ করতে হবে খারাপ লোক আর ভালো লোক। ভারতের সকলে যেমন ভালো নয়, বাংলাদেশের সকলেও তেমন ভালো নয়।”
“মানুষের চরিত্রই এমন
বসলে বলবে না, বসো না
দাঁড়ালে, কি ব্যাপার হাঁটো
আর হাঁটলে, ছি: বসো।
শুয়ে পড়লে ও তাড়া – নাও উঠো,
না শুলে ও স্বষ্তি নেই, একটু তো শুবে!”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের উক্তি, তাঁর রচিত ‘বড় ভয়ে গোপনে গোপনে বাঁচি’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উক্তিগুলো পড়ে নিন >> সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আলোচিত উক্তি
তসলিমা নাসরিনের কবিতা থেকে সংগৃহীত উক্তি
প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে উক্তি
প্রত্যেক মানব জীবনেই প্রেম আসে। তাঁর বহিপ্রকাশ এক একজন এক এক ভাবে করে থাকেন। সবাই যে বহিঃপ্রকাশ করতে পারেন, এমনও নয়। তসলিমা নাসরিনের প্রেম ভালোবাসার উক্তি যেকোনো প্রেমিক হৃদয়কে রাঙ্গাবে, কাঁদাবে এবং ভাসাবে।
“যদি ভুলে যাবার হয়, ভুলে যাও।
দূরে বসে বসে মোবাইলে, ইমেইলে হঠাৎ হঠাৎ জ্বালিয়ো না,
দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে এভাবে বিরক্তও করো না।”
“ভুলে যেতে হলে ভুলে যাও, বাঁচি।
যত মনে রাখবে, যত চাইবে আমাকে, যত কাছে আসবে,
যত বলবে ভালোবাসো, তত আমি বন্দি হতে থাকবো তোমার হৃদয়ে, তোমার জালে,
তোমার পায়ের তলায়, তোমার হাতের মুঠোয়, তোমার দশনখে”।
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের উক্তি দুটি, তাঁর রচিত ‘মুক্তি‘ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
এখনো কেমন যেন হৃদয় টাটায়
প্রতারক পুরুষেরা এখনো আঙুল ছুঁলে
পাথর শরীর বয়ে ঝরনার জল ঝরে”।
“এখনো কেমন যেন কল কল শব্দ শুনি
নির্জন বৈশাখে, মাঘচৈত্রে
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
বিশ্বাসের রোদে পুড়ে নিজেকে অঙ্গার করি”।
“প্রতারক পুরুষেরা একবার ডাকলেই
ভুলে যাই পেছনের সজল ভৈরবী
ভুলে যাই মেঘলা আকাশ, নাফুরানো দীর্ঘ রাত।
একবার ডাকলেই
সব ভুলে পা বাড়াই নতুন ভুলের দিকে
একবার ভালোবাসলেই
সব ভুলে কেঁদে উঠি অমল বালিকা।
“ভুল প্রেমে তিরিশ বছর গেল
সহস্র বছর যাবে আরো,
তবু বোধ হবে না নির্বোধ বালিকার।”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের বাণী তিনটি, তাঁর রচিত ‘ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত‘ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“ইচ্ছে ছিল বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রের জলে, কেউ জানবে না,
ভাসিয়ে দেব একদিন
কচুরিপানার মতো, খড়কুটোর মতো, মরা সাপের মতো ভাসতে ভাসতে দুঃখরা
চলে যাবে কুচবিহারের দিকে…”
দুঃখবতী মা – তসলিমা নাসরিন
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের বানী, তাঁর রচিত ‘দুঃখবতী মা‘ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“কাছে যতটুকু পেরেছি আসতে, জেনো
দূরে যেতে আমি তারো চেয়ে বেশী পারি।
ভালোবাসা আমি যতটা নিয়েছি লুফে
তারো চেয়ে পারি গোগ্রাসে নিতে ভালোবাসা হীনতাও।
জন্মের দায়, প্রতিভার পাপ নিয়ে
নিত্য নিয়ত পাথর সরিয়ে হাঁটি।
অতল নিষেধে ডুবতে ডুবতে ভাসি,
আমার কে আছে একা আমি ছাড়া আর?”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের বানী, তাঁর রচিত ‘অভিমান’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“ঠকতেই হবে ভালবেসে যদি গোপনে কিছুর করো
প্রত্যাশা কোনও, এমনকি ভালবাসাও পাবার আশা।”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের উক্তি, তাঁর রচিত ‘প্রত্যাশা’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“আজকাল তো ব্যস্ততাও বেড়েছে খুব।
সেদিন দেখলাম সেই ভালবাসাগুলো
কাকে যেন দিতে খুব ব্যস্ত তুমি,
যেগুলো তোমাকে আমি দিয়েছিলাম।”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের বানী, তাঁর রচিত ‘ব্যস্ততা’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“সে তোমার বাবা, আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার ভাই, আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার বোন, আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার মা, আসলে সে তোমার কেউ নয় ।
তুমি একা।”
“যে তোমাকে বন্ধু বলে, সেও তোমার কেউ নয় ।
তুমি একা।
তুমি যখন কাঁদো, তোমার আঙুল
তোমার চোখের জল মুছে দেয়, সেই আঙুলই তোমার আত্মীয়।”
“তুমি ছাড়া তোমার কেউ নেই
কোন প্রানী বা উদ্ভিদ নেই।
তবু এত যে বলো তুমি তোমার,
তুমিও কি আসলে তোমার ?”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের বাণী তিনটি, তাঁর রচিত ‘দ্বিখন্ডিত’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“শোনো শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, সীতাকুণ্ড- পাহাড়-আমি ফিরব।
যদি মানুষ হয়ে না পারি, পাখি হয়েও ফিরব একদিন।”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের উক্তিটি, তাঁর রচিত ‘যদি মানুষ হয়ে না পারি, পাখি হয়েও ফিরব একদিন’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“আমি তাকে ভালোবেসে,ঘৃণা করে, তাকে সসম্মানে, গোপনে,
তাকে হৃৎপিণ্ডে, রক্তচলাচলে বহন করি, বাঁচাই।
আমার সময়। আমার আততায়ী, আমি জন্মে তাকে জন্ম দিই।”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের উক্তিটি, তাঁর রচিত ‘আমার সময়’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লার ভালোবাসার উক্তিগুলো জেনে নিন >> রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভালোবাসার উক্তি
“কতটুকু ভালোবাসা দিলে,
ক তোড়া গোলাপ দিলে,
কতটুকু সময়, কতটা সমুদ্র দিলে,
কটি নির্ঘুম রাত দিলে, কফোঁটা জল দিলে চোখের –
সব যেদিন ভীষণ আবেগে শোনাচ্ছেলে আমাকে,
বোঝাতে চাইছিলে আমাকে খুব ভালোবাসো;”
উপরোক্ত তসলিমা নাসরিনের উক্তিটি, তাঁর রচিত ‘হিসেব’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“আমি বুঝে নিলাম-
তুমি আমাকে এখন আর একটুও ভালোবাসোনা।
ভালোবাসা ফুরোলেই মানুষ হিসেব কষতে বসে, তুমিও বসেছো।
ভালোবাসা ততদিনই ভালোবাসা
যতদিন এটি অন্ধ থাকে, বধির থাকে,
যতদিন এটি বেহিসেবি থাকে।”
উপরোক্ত উক্তিটি তসলিমা নাসরিনের ‘হিসেব’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
“যেরকম ছিলে, সেরকমই তুমি আছ
কেবল আমাকে মাঝপথে ডুবিয়েছ
স্বপ্নের জলে উলটো ভাসান এত
আমি ছাড়া আর ভাগ্যে জুটেছে কার!”
“বড়শিতে গাঁথা হৃদপিন্ডের আঁশ
ছিঁড়ে খেতে চাও, তুমি তো পুরুষই খাবে।
সাঁতার জানি না, মধ্যনদীতে ডুবি
অন্ধকে টোপ দেবার মানুষ নেই।”
উপরোক্ত কবিতার চরণ দুটি তসলিমা নাসরিনের ‘টোপ’ কবিতা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।চ
“তুমি মেয়ে,
তুমি খুব ভাল করে মনে রেখো
তুমি যখন ঘরের চৌকাঠ ডিঙোবে
লোকে তোমাকে আড়চোখে দেখবে।
তুমি যখন গলি ধরে হাঁটতে থাকবে
লোকে তোমার পিছু নেবে, শিস দেবে।
তুমি যখন গলি পেরিয়ে বড় রাস্তায় উঠবে
লোকে তোমাকে চরিত্রহীন বলে গাল দেবে।
যদি তুমি অপদার্থ হও
তুমি পিছু ফিরবে
আর তা না হলে
যেভাবে যাচ্ছ, যাবে।
উপরোক্ত উক্তি, কবিতাংশটি , তসলিমা নাসরিনের ‘চরিত্র’ কবিতা থেকে চয়ণ করা হয়েছে।
সমরেশ মজুমদারের জনপ্রিয় উক্তিগুলো পড়ে নিন >> সমরেশ মজুমদার জনপ্রিয় বাণী
আশির দশকের জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত লেখিকা আজো তাঁর লেখাইয় শান দিয়ে যাচ্ছেন। নাস্তিক বাদীতা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় সমানভাবেই মৌলবাদীদের রোষালনে পড়ছেন। বিতর্কিত বিষয় সমূহ বাদ দিয়ে সার্বিকভাবে চিন্তা করলে তসলিমা নাসরিন একজন ক্ষণজন্মা লেখিকা। তসলিমা নাসরিনের উক্তি এবং বানী, যুগ যুগ বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাবে।
উপরোক্ত উক্তি ও বাণীসমূহ তসলিমা নাসরিনে কবিতা, বিভিন্ন রচনা এবং বাংলা ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।