শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি । বঙ্গবন্ধুর অমূল্য জনপ্রিয় বাণীসমূহ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বাংলাদেশের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের গোপালগঞ্জ জেলায়। তিনি ১৭ মার্চ ১৯২০ সালে জন্মগ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত। তাছাড়া তিনি ছিলেন দক্ষিন এশিয়ার প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের মধ্যে একজন। তার অবদানে ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন ও পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি সবাইকে চমকে দিয়ে অধিক ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশের ২য় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারপর তিনি ১১ই এপ্রিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভূষিত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে বাংলাদেশের মানুষ জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। জনসাধারণের কাছে তিনি ১৯৬৯ সালে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপধিতে ভূষিত হন। তাঁর ডাকেই লাখ লাখ মানুষ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় নিজ বাসভবনে এক সেনা অভ্যুত্থানে মারা যান। জীবনের নানা বাস্তবতায় তাঁর ভূমিকা ছিল অনবদ্য। রচনা করেছেন বেশ কিছু বই। জীবন ও বই হতে সংগৃহীত অমূল্য বঙ্গবন্ধুর বাণী আমাদের জীবন চলার পথে পাথেয় হতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি ও বাণীগুলো নিয়েই আত্মপ্রকাশের আজকের আয়োজন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি ও বাণী সমাবেশ
বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু অসংখ্য সংগ্রামের অগ্রবর্তী পথিক ছিলেন। জীবনে জেল কেটেছেন প্রায় অর্ধেক অংশ। সেইসব অভিজ্ঞতা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিখ্যাত উক্তি ও বাণীগুলোকে ৪ টি ভাগে ভাগ করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রচনার ভাগসমূহ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শন উক্তি
অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমান পরিচিত ছিলেন তাঁর একমুখী সংগ্রামী জীবনবোধের কারণে। জীবন ও জীবনবোধ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি ও বাণীসমূহ নিম্নরুপ।

“যার মনের মধ্যে আছে সাম্প্রদায়িকতা সে হলো বন্য জীবের সমতূল্য।”
“আমলা নয় মানুষ সৃষ্টি করুন।”
“চরম ত্যাগ স্বীকার ছাড়া কোনদিন কোন জাতির মুক্তি আসেনি।”
“কৃষকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে আমি জানি শোষণ কাকে বলে।”
“মানুষ চায় কী জীবনে? কেউ চায় অর্থ, কেউ চায় শক্তি, কেউ চায় সম্পদ, কেউ চায় মানুষের ভালোবাসা। আমি চাই মানুষের ভালোবাসা।”
উপরোক্ত বঙ্গবন্ধুর বাণী, তাঁর দেওয়া ১৯৭৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নীলফামারিতে দেওয়া ভাষণ থেকে চয়ণ করা হয়েছে।

“যে মানুষ মৃত্যুর জন্য প্রস্তত, কেউ তাকে মারতে পারে না।”
“প্রধানমন্ত্রী হবার কোন ইচ্ছা আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়। কিন্তু, যে ভালোবাসা ও সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন, তা আমি সারাজীবন মনে রাখবো।”
“সমস্ত সরকারী কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন।”
“জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এই কথা মনে রাখতে হবে। আমি বা আপনারা সবাই মৃত্যুর পর সামান্য কয়েক গজ কাপড় ছাড়া সাথে আর কিছুই নিয়ে যাব না।”
“তবে কেন আপনারা মানুষকে শোষণ করবেন, মানুষের উপর অত্যাচার করবেন?”
“বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত – শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।”
“আমাদের চাষীরা হল সবচেয়ে দুঃখী ও নির্যাতিত শ্রেণী এবং তাদের অবস্থার উন্নতির জন্যে আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পেছনে নিয়োজিত করতে হবে।”
জীবন নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তির পাশাপাশি অন্যান্য মনীষীদের বিখ্যাত বাণীসমূহ নিম্নরুপ লিংকে।
- এ. পি. জে. আবদুল কালামের উক্তি । জীবন । সমাজ । অনুপ্রেরণামূলক বাণী সমাবেশ
- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের উক্তি ও প্রচলিত বাণী সমাবেশ ।
শেখ মুজিবুর রহমানের ধর্মীয় বাণী
ধর্ম নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেশ উদারপন্থী ছিলেন। সব ধর্মের ব্যাপারে তিনি একই নীতি গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশে সকল ধর্ম সমান অধিকার নিয়ে একত্রে বসবাস করবেন; এই ছিল তাঁর কামনা। ধর্ম নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি যেকোনো শাসকের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। মুজিবুর রহমানের ধর্মীয় উক্তি ও বাণী নিম্নরুপ।
“যদি কেউ বলে যে, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলব ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি।”
“কেউ যদি বলে গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার নাই,আমি বলব সাড়ে সাত কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যদি গুটিকয়েক লোকের অধিকার হরণ করতে হয়, তা করতেই হবে।”

“ধর্মপ্রাণ বাঙ্গালী মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে।”
“সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ। মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে। হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে। বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।”
“গরীবের উপর অত্যাচার করলে আল্লাহর কাছে তার জবাব দিতে হবে।”
“পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।”
“এদেশে কৃষক-শ্রমিক, হিন্দু-মুসলমান সবাই সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে।”
উপরোক্ত শেখ মুজিবুর রহমান উক্তিটি ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে দেওয়া তাঁর বক্তব্য থেকে সংগৃহীত করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ধর্মীয় উক্তির সাথে অন্যান্য মনীষীদের ধর্মীয় বাণীগুলো পেতে নিম্ন্রুপ লিংকগুলো ফলো করুন।
মহাকবি আল্লামা ইকবালের উক্তি । আলোচিত ও জনপ্রিয় বাণী সমাবেশ
মাওলানা তারিক জামিলের উক্তি ও উপদেশ । জীবন সম্পর্কিত অমূল্য জ্ঞান সম্ভার
হযরত আব্দুল কাদির জিলানির উক্তি । চমৎকার জীবনবোধ । ধর্মীয় অনুশাসন
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক উক্তি
দক্ষিন এশীয় রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব বিশ্বকে অন্য দিশা দিয়েছিল। তাঁর মত্যুতে বিশ্ব হারিয়েছিল অবিসংবাদী এক নেতা। তাঁর বলা প্রতিটি ভাষণই গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য বহন করে এবং উক্তিতে রুপান্তর সম্ভব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক উক্তি ও বাণীগুলো নিম্নরুপ।
“সরকারী কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে। তাঁরা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তাঁরা জনগণের বাপ, জনগণের ভাই, জনগণের সন্তান। তাঁদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।”

“ জনগণকে ছাড়া, জনগণকে সংঘবদ্ধ না করে, জনগণকে আন্দোলনমুখী না করে এবং পরিস্কার আদর্শ সামনে না রেখে কোনোরকম গণ আন্দোলন হতে পারেনা।”
“আন্দোলন গাছের ফল নয়। আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না। আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়। আন্দোলনের জন্য নি:স্বার্থ কর্মী হতে হয়।আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়।”
“ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে এনে দেশকে গড়া যাবে না। দেশের মধ্যেই পয়সা করতে হবে।”
“ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।”
“সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।”
“বাংলার উর্বর মাটিতে যেমন সোনা ফলে, ঠিক তেমনি পরগাছাও জন্মায়!”

“ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা,আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন।”
“পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।”
“যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশী হলেও, সে একজনও যদি হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো।”
“বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সব সময় জীবন দিতে প্রস্তুত।”
“মুক্তির লক্ষ্যে না পৌছা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম নবতর উদ্দীপনা নিয়ে অব্যাহত থাকবে।”
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম!”

“গণআন্দোলন ছাড়া, গণবিপ্লব হয় না।”
“অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোন দিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।”
“যখন তুমি কোন ভদ্রলোকের সাথে খেলবে তখন তোমাকে ভদ্রলোক হতে হবে, যখন তুমি কোন বেজন্মার সাথে খেলবে তখন অবশ্যই তোমাকে তার চাইতে বড় বেজন্মা হতে হবে। নচেত পরাজয় নিশ্চিত।”
“বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ না থাকলে আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।”
“ বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবেই।”
“ আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না।”

“আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না। আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়। আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়। আন্দোলনের জন্য নিঃস্বার্থ কর্মী হতে হয়। ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার।”
“আর সর্বোপরি জনগণের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।”
“রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চারটি জিনিসের প্রয়োজন, তা হচ্ছে: নেতৃত্ব, ম্যানিফেস্টো বা আদর্শ, নিঃস্বার্থ কর্মী এবং সংগঠন।”
“ভুলে যেয়ো না। স্বাধীনতা পেয়েছো এক রকম শত্রুর সাথে লড়াই করে। তখন আমরা জানতাম আমাদের এক নম্বর শত্রু পাকিস্থানের সামরিক বাহিনী ও শোষকগোষ্ঠী। কিন্তু, এখন শত্রুকে চেনাই কষ্টকর।”
“আমি বিশ্বাস করি, ক্ষমতা বাংলার জনগণের কাছে। জনগণ যেদিন বলবে ‘বঙ্গবন্ধু ছেড়ে দাও’,বঙ্গবন্ধু একদিনও রাষ্ট্রপতি, একদিনও প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে নাই।”
“বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছে শোষণহীন সমাজ কায়েম করার জন্য।”
“রক্ত যখন দিয়েছি, আরও রক্ত দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।”
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক উক্তি সমূহ সকলের জন্য পাথেয়। অন্যান্য জ্ঞানী গুণী মণীষীদের রাজনৈতিক উক্তিগুলো নিম্নরুপ লিংকে দেখে নিতে পারেন।
মার্টিন লুথার কিং উক্তি । জনপ্রিয় এবং আলোচিত বাণী সমাবেশ
চাণক্যের নীতি । আলোচিত ও বাছাইকৃত বাণী, শ্লোক ও উক্তি সমাবেশ
দেশ ও জাতি নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বাণী
যখন থেকে ভাবতে শিখেছেন, তিনি দেশ; তথা দেশের মানুষদের নিয়ে ভেবেছেন। তাঁদের কল্যাণে কাজ করে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। দেশ ও জাতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি ও বাণী নিম্নরুপ।

“ মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে ।”
“আমি আমার জন্মদিনের উৎসব পালন করি না। এই দু:খিনী বাংলায় আমার জন্মদিনই-বা কি আর মৃত্যুদিনই-বা কি? ”
“আমার দেশবাসীর কল্যাণের কাছে আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির জীবনের মূল্যই -বা কতটুকু?”
“মজলুম দেশবাসীর বাঁচার জন্য সংগ্রাম করার মতো মহান কাজ আর কিছু আছে বলিয়া মনে করি না।”
“এখন যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায়, তাহলে সে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্যে মুজিব সর্ব প্রথম তার প্রাণ দেবে।”
“বাংলার মাটি দু্র্জয় ঘাঁটি জেনে নিক দুর্বৃত্তেরা”

“ওরা আমারই সন্তান। আমাকে কেন হত্যা করবে?”
“আমি সব ত্যাগ করতে পারি, তোমাদের ভালোবাসা আমি ত্যাগ করতে পারিনা।”
“আজ থেকে পূর্ব পাকিস্তানের নাম হবে বাংলাদেশ।”
– আলোচ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সালে দিয়েছিলেন।
“এই রাষ্ট্রের মানুষ হবে বাঙালি। তাদের মূলমন্ত্র সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।”
– উক্ত বঙ্গবন্ধুর বাণী, ২৪ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে টাঙ্গাইলের জনসভায় ব্যক্ত করেন।
“আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দেশের মানুষকে ভালবাসি, সবচেয়ে বড় দূর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশী ভালবাসি।”
“সাত কোটি বাঙ্গালির ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি। আমি সব হারাতে পারি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারব না।”

“এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়।”
“এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।”
“যিনি যেখানে রয়েছেন, তিনি সেখানে আপন কর্তব্য পালন করলে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে না।”
“দেশের সাধারণ মানুষ, যারা আজও দুঃখী, যারা আজও নিরন্তর সংগ্রাম করে বেঁচে আছে।”
“তাদের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখকে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উপজীব্য করার জন্য শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”
“এই স্বাধীন দেশে মানুষ যখন পেট ভরে খেতে পাবে, পাবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন; তখনই শুধু এই লাখো শহীদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।”

“আমি যদি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, আমি যদি দেখি বাংলার মানুষ দুঃখী, আর যদি দেখি বাংলার মানুষ পেট ভরে খায় নাই, তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারব না।”
“যদি আমরা বিভক্ত হয়ে যাই এবং স্বার্থের দ্বন্দ ও মতাদর্শের অনৈক্যের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে আত্বঘাতী সংঘাতে মেতে উঠি, তাহলে যারা এদেশের মানুষের ভালো চান না।”
“ও এখানাকার সম্পদের ওপর ভাগ বসাতে চান তাদেরই সুবিধা হবে এবং বাংলাদেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত, ভাগ্যাহত ও দুঃখী মানুষের মুক্তির দিনটি পিছিয়ে যাবে।”
“শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।”
“বাংলাদেশ এসেছে বাংলাদেশ থাকবে।”
“বাংলার মাটি দু্র্জয় ঘাঁটি জেনে নিক দুর্বৃত্তেরা।”
দেশ ও জাতি নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি ও বাণীর পাশাপাশি, অন্যান্য মনীষীদের বাণীগুলো নিম্নরুপ লিংকে দেখে নিতে পারেন।
চার্লি চ্যাপলিনের উক্তি | আলোচিত এবং জনপ্রিয় বাণী সমাবেশ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উক্তি । জনপ্রিয় ও মনছোঁয়া বাণী সমাবেশ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের বুকে যে কালো ছায়া নেমে এসেছিল। তা আজো বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশীরা। সেই সাথে বিশ্ব হারিয়েছিল এক রাজনৈতিক কবিকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্মের দ্বারা। বঙ্গবন্ধুর উক্তিগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে বাঙ্গালী তথা বিশ্ববাসীর অন্তরে। শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি বিশ্বনেতাদের জন্য অনুকরণীয়।
সোর্সঃ উইকিপিডিয়া, বঙ্গবন্ধুর-জীবন-ভিত্তিক-তথ্য