মাইকেল মধুসূদন দত্তের উক্তি ও জীবনবোধ সমৃদ্ধ বাণী সমূহ
মাইকেল মদুসূধন দত্ত বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন । মাইকেল মদুসূধন দত্ত ১৮২৪ সালে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি । তাকে বাংলা কাব্য সাহিত্যে আধুনিকতার জনক ও বাংলা কবিতার আধুনিকতার জনক বলা হয় । তিনি ছিলেন প্রথম সার্থক নাট্যকার ও প্রথম পত্রকাব্যকার ।বাংলার প্রথম প্রহসন তিনিই লিখেছিলেন । তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক । তিনি বেশি অবদান রেখেছিলেন মহাকাব্য রচনায় । তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য রচয়িতা । ৯ ফেবরুয়ারি ১৯৪৩ সালে ১৯ বছর বয়সে তিনি খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হন । মাত্র ৪৯ বছর বয়সে কলকাতায় কপর্দকশূন্য করুণ অবস্থায় মৃত্যু হয় এই মহাকবির। ২৯ জুন ১৮৭৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন ।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত উক্তি
মাইকেল মধুসূদন দত্তের উক্তিগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিচে উপস্থাপন করা হল। ভাগকৃত অংশে ক্লিক করা মাত্রই পৌছে যাবেন নির্দিষ্ট অংশে।
রচনার ভাগসমূহ
জীবনবোধ নিয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্তের উক্তি
চমৎকার জীবনবোধের অধিকারী মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর জীবনদশায় লিখেছেন অসংখ্য লেখা, যাতে আমরা তাঁর উন্নত জীবনবোধ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে থাকি। জীবন নিয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত উক্তি ও বাণীগুলো সে কথাই প্রমাণ করে।
“জম্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে? চিরস্থির কবে নীর হায়রে জীবন নদে? ” ~ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
“পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালেমাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মণিজালে।” ~ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
“নিশার স্বপন-সুখে সুখী যে কী সুখ তার, জাগে সে কাদিতে।” ~ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
“হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন।” ~ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
“বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ – দলে,কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?” ~ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
“দিন দিন আয়ুহীন, হীনবল দিন দিন।” ~ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
“প্তঙ্গ যে রঙ্গে ধায় ধাইলি, অদোধ হায় না দেখলি না শুনলি এবে রে প্রাণ কাঁদে।” ~ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
“গতি যার নীচ সহ নীচ সে দুর্মতি।”
মাতৃভাষা নিয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্তের উক্তি
মাতৃভাষা নিয়ে তাঁর অনীহা এবং শেষে ভালোবাসায় রুপ নেওয়ার পালাবদলে আমরা পেয়েছি ভাষার প্রতি ভালোবাসা। তাইতো মাতৃভাষা নিয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখেছেন কবিতা।
“ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি,এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি? যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!”
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রথম জীবনে মাতৃভাষার প্রতি অনীহা দেখালেও শেষ সময়ে এসে মাতৃভাষার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা অনুভব করেছিলেন। যা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অনবদ্য অবদানে বাংলা ভাষা ব্যবহারে অনেক রুপ এবং সমৃদ্ধি লাভ করে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বাণীতে আমরা সে ছোঁয়া পাই। তাঁর লিখিত ভাষা বর্তমানে দূর্বোধ্য হলেও তাঁর অন্তর্নিহিত ভাব সমৃদ্ধ।