মুহাম্মদ জাফর ইকবালের জীবনী । অজানা কিছু মজার ঘটনা
মুহম্মদ জাফর ইকবাল সাহিত্য জগতের এক সুপরিচিত নাম, যিনি তার সাহিত্য সাধনা শুরু করেন শিশু সাহিত্যের মাধ্যমে, বর্তমানে সায়েন্স ফিকশন লেখক হিসেবে তরুন সমাজে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। তাঁর বেছে নেয়া ভিন্ন ধর্মী ধারাই হলো সায়েন্স ফিকশন, এরপর ক্রমাগত লিখে আসছেন কিশোর উপন্যাস,বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। পাশাপাশি নিয়মিত কলাম লিখছেন পত্রিকায়। আর একজন সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবেও তাঁর জুড়ি নেই। আজ এই সৃষ্টিশীল মানুষ, মুহম্মদ জাফর ইকবালের জীবনী নিয়েই আমাদের পর্বটি সাজিয়েছি।
মুহম্মদ জাফর ইকবালের জীবনী । জন্ম ও পারিবারিক জীবন
রচনার ভাগসমূহ
দেশের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায় হলেও, ড. জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের মিরাবাজারে জন্ম গ্রহন করেন।কারন তার বাবা সরকারি চাকরিজীবী(পুলিশ) ছিলেন তাই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং হতো। তিনি (লেখকের বাবা) একাত্তরের যুদ্ধে পাক-হানাদারের গুলিতে নিহত ও শহীদ হন। জাফর ইকবালের বাবার মৃত্যুতে তাদের পরিবারে একটু টানাপোড়নে পরতে হয়েছিল, ছয় ভাই বোন ও মাকে নিয়েই তাদের সংসার ছিলো আর ভরন পোষন তার মাকেই চালাতে হতো, কেমন করে চালাতেন লেখক তা উল্লেখ্য করেননি।
স্বাধীনতার পর পিতৃহীন লেখক কিছু কঠিন ও কঠোর অভিজ্ঞার মধ্যে দিয়ে পার করেছেন জীবনের কিছুটা সময় এমনই কিছু অভিজ্ঞতার কথা তিনি নিজেই লিখেছেন তার রঙিন চশমা বইটিতে।
যেমন ধরুন, তাঁর বাবার মৃত্যুর সংবাদটা তার মাকে বলার জন্য মাধ্যমটা তিনি নিজে হয়েছিলেন। আবার তাঁর বাবা যে ইহলোকে নেই সেটা তার মাকে বিশ্বাস করানোর জন্য তার বাবার কবর খুড়ে লাশ বের করে দেখাতে হয়েছিল, যে কাজটর, মুহম্মদ জাফর ইকবাল নিজে করেছেন। ছোট বোনকেও তিনিই বাবার মৃত্যুর কথা বলেছিলেন, যা তাঁর জীবনের ভয়ঙ্কর অনুভুতির মধ্যে একটা।
একদিনের ঘটনা,শহীদের পরিবার বলে সরকার থেকে তাদের একটা বাড়ি দেয়া হয়েছিল। তারা সেখানেই থাকতেন কিন্তু হঠাৎ একদিন রক্ষীবাহিনী এসে তাদের জিনিসপত্র সহ বাড়ি থেকে বের করে দিলেন। তারা খোলা আকাশ টাকেই ছাঁদ হিসেবে নিয়েছিলেন। লেখক এভাবে বলেছেন যে – আমরা রাস্তার মাঝখানে চেয়ার টেবিল পেতে বসে আছি।মাথার ওপর কোন আশ্রয় নেই, তখন তাই ভেবেছিলাম। আসলে মাথার ওপর আশ্রয় ছিল আকাশ। একবার আকাশের আশ্রয়ে বেঁচে থাকা শিখে গেলে আর কিছু লাগে না।স্বাধীনতার পর সেই ভয়াবহ দুঃসময়ে আমরা টিকে গিয়েছিলাম শুধু এই একটি কারনে!আকাশের যে আশ্রয় সেটা কেউ কেড়ে নিতে পারে না! (রঙিন চশমা)
সত্যি এটা একটা প্রাকৃতিক যুক্তি যে আকাশের আশ্রয় কারো নামে লেখা নেই, তাই আকাশটা সবার।
ড. জাফর ইকবালের পরিবার পরিচিতি
পিতাঃ জাফর ইকবালের বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন যিনি মুক্তিযুদ্ধে নিহত ও শহিদ হন। মাতাঃ মা আয়েশা ফয়েজ গৃহিনী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি নিজেও লেখিকা ছিলেন। সন্তানদের লিখা পড়তে খুব পছন্দ করতেন।
বড় ভাইঃ হুমায়ূন আহমেদ লেখক ও মুভি নির্মাতা ছিলেন। অসংখ্য উপন্যাস লিখেছেন তিনি। এর মধ্যে হিমু এবং মিসির আলী সিরিজের বই গুলো তরুন সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। ১৯ জুলাই ২০০১২ তে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
ছোট ভাইঃ আহসান হাবিব, কার্টুনিস্ট,রম্য সাহিত্যিক এবং কমিক বুক রাইটার হিসেবে পরিচিত। তিন বোন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ ও রোকসানা আহমেদ।
বোনঃ জাফর ইকবালের তিন বোন । তাঁরা হলেন, সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহীদ, রোকসানা আহমেদ।
স্ত্রীঃ ১৯৭৮ সালে আমেরিকায় থাকাকালীন সময়ে লেখক তারই সহপাঠী ইয়াসমিন হকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ইয়াসমিন হক বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের প্রফেসর হিসেবে শিক্ষকতা করছেন। ছেলেঃ নাবিল ইকবাল যুক্তরাষ্ট্রের কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করে, পিএইচডি করছেন ম্যাসাচুয়েট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে।
মেয়েঃ ইয়েশিম ইকবাল কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে পিএইচডি করছেন। তিনি জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস “আমার বন্ধু রাশেদ” (Rashed,My Friend)নামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন।
মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছেলেবেলা । দুরন্ত কৈশোর
পরিবার যেমনই হোক, উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত,ছেলেবেলা সর্বদা ঘটনা বহুলই হয়। মজার মজার ছোট ছোট ঘটনা। যেমন ধরুন ক্লাসের সব চেয়ে সহজ সরল ছেলেটাকে কিভাবে বিরক্ত করা যায়,কারোর সুন্দর নামটাকে কিভাবে কুৎসিত করে ডেকে তাকে খ্যাপানো যায়।ঝাক বেধেঁ গোসল করতে যেয়ে পুকুর ওয়ালীর বোকা শোনা,তারপর চুরি করে আম পেড়ে খাওয়ার কথা নাই বললাম, সবই ছেলেবেলার সেই ছেলেমানুষী।লেখকের ছেলেবেলাও কিন্তু মজারই ছিল আর একটু বেশিই মজার।লেখকের ছেলেবেলা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কাটলেও ঘটনাতো আর থেমে থাকেনি, সেই রকমই একটা মজার ঘটনা- পাঠকগন কখনো হাতের লেখার মধ্যে হাতির মাথা দেখেছেন কিনা সেটা আমি বলতে পারবো না কিন্তু লেখক তাঁর বড় ভাই বোনের হাতের লেখার মধ্যে হাতির মাথা দেখতে পেতেন।লেখকের ভাইবোন বাড়ির কাজ শেষ করে খাতা রেখে দিয়েছেন, লেখক হাতের লেখা দেখতে যেয়ে তার মাঝে অনেক গুলো হাতির মাথা দেখলেন, ভাবলেন হয়তো চোখ আকাতে ভুলে গেছে তাই তিনি প্রত্যেকটা মাথায় চোখ এঁকে দিলেন পরের দিন যখন তাঁর ভাই বোন স্কুলে স্যারের কাছে খাতা দিয়েছেন পরের কাহিনী নাই বলি। আসল কথাটা হচ্ছে হাতির মাথাটা ছিল ইকারের উপরের অংশ।লেখকের ছেলেবেলার আরও মজার মজার ঘটনা জানতে পড়ে নিতে পারেন মুহাম্মদ জাফর ইকবালের শৈশব বিজরিত কিছু স্মৃতি এবং দুরন্ত ছোটবেলা।
মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছাত্রজীবনে ঘটা কিছু ঘটনা
জাফর ইকবালের জীবনী তে ছাত্রজীবন অধ্যায়টি নানাবিধ ঘটনাবহ নিয়ে সজ্জিত। ছাত্রজীবন একজন মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়, এখানে কোন কিছুর অভাব নেই বলতে গেলে, আনন্দ বেদনা সকল কিছুর সম্ভারই এই ছাত্র জীবন। একজন সাধারন ছাত্রের মতো জাফর ইকবালও বাদ যাননি ছাত্র জীবনের এই অধ্যায়টি থেকে, যেহেতু তাঁর বাবা বেচে নেই তাই সংসার তার মা কিভাবে চালাচ্ছেন, এটা তাঁর কাছে রহস্য ছিল। আর এজন্যই ছাত্র জীবনেই কিছু উপার্জন করার মানসিকতা লেখকের মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছিলো, তাই টিউশনি করাতেন লোক চক্ষুর আড়ালে, আবার পত্রিকার অফিসেও ঘোরাঘুরি করতেন কোন কাজের আসায় আর পেয়ে ও যান কার্টুন আঁকার কাজ।
একটা কার্টুন একেছেন এরকম যে – একটা শাড়িকে দড়ি হিসেবে ব্যবহার করে একজন মানুষ গলায় দড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে, নিচে তার স্ত্রী হাউমাউ করে কাঁদছে আর বলছে, “ওগো” তুমি আমার এত দামি শাড়িটা এভাবে নষ্ট করলে!(রঙিন চশমা)
তাঁর আঁকা কার্টুন গুলো তখনকার জনপ্রিয় পত্রিকা গনকণ্ঠে ছাপা হতো তিনি তাঁর নাম ব্যবহার করতেন বিচ্ছু। কার্টুন আকার জন্য তাকে সব সময় আইডিয়ার জন্য ভাবতে হতো এজন্য মনে কোন হাস্যকৌতুক ছিলো না। তিনি যদিও কার্টুন একে মানুষকে হাসাতেন কিন্তু পারিশ্রমিকের জন্য তাকে যে বিভিন্ন জায়গায় সম্পাদক ঘোরাতেন তাতে তাঁর জীবনটাই একটা বড় কার্টুন মনে হতো, যা সবার অজানা শুধুমাত্র লেখকই সেটার প্রমান ছিলো।
ড. জাফর ইকবাল তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, প্র্যাক্টিকেল ক্লাস তাঁর বলা যায় একটা পছন্দের বিষয় ছিলো। একটা এক্সপেরিমেন্ট করার সময় সিলভার নাইট্রেটের দ্রবন এক ফোটা তার হাতে পড়ে একটু কালচে মত রং হলো যা হয়তো কিছু দিন স্থায়ী হবে। লেখকের একটু কৌতুহল জাগলো তিনি সিলভার নাইট্রেট দিয়ে হাতে একটা মাছের ছবি এঁকে ফেললেন যা দেখে লেখকের বন্ধুরা মুগ্ধ হয়ে গেলেন। কিন্তু কিছু পরেই লেখক আঁকানো ছবিটা জুড়ে যন্ত্রনা অনুভব করতে লাগলেন, যা ক্রমশ বাড়লো আর ফুলে যেতে লাগলো। সেরে যাওয়ার কোন নামই ছিলো না বরং দগদগে ঘা এ পরিনত হলো। শেষ পর্যন্ত লেখক মেডিকেলে ইমার্জেন্সিতে গেলেন, ডা্ক্টার দেখে তো অদ্ভুদ ভাবে তাকিয়ে ছিলেন লেখকের দিকে, সব শুনে একটা ইনজেকশন দিয়ে বলেছিলেন,ইনফেকশন হয়ে আপনি শকে চলে যেতে পারতেন, ভবিষ্যতে এমন পাগলামে করবেন না (রঙিন চশমা)।
হলের ডাইনিংএ খেতে বসেছেন লেখক বন্ধুদের সাথে,সেদিনের খাবারের মেনু ছিলো শিং মাছ। একজন বলে উঠলে দেখেছো মাছের গলা থেকে বড়শিটা পর্যন্ত খোলে নি। এই বলে সে মাথাটা ফেলে দিচ্ছিলো কিন্তু লেখক মাথা নিয়ে বললো কেচো কে টোপ বানিয়ে নাকি মাছ ধরে দেখি কেঁচোটা ফেলেছে কিনা,এই বলে সে একটা পুরুষ্ট কেচো বের করে আনলো তাতে সবার খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল, লেখক কিন্তু খাওয়া বন্ধ করেন নি। তিনি বলেছেন, খাওয়া বন্ধ করবো কেন?আমরা হলে থাকি তো!
ছাত্রজীবনে প্রক্সি শব্দটা কারোর অজানা নয়,কোন ক্লাস বা ব্যাচে বলো কেউ না কেউ তো প্রক্সি দেয়ার জন্য বিখ্যাত থাকেই, যেহেতু লেখককে নিয়ে লিখছি , তাই পাঠক ভাবতে পারেন লেখক নিশ্চয়ই প্রক্সি দিতেন। না তা কিন্তু নয়, লেখক মোটেও প্রক্সি দেন নি তবে তার জন্য কাউকে প্রক্সি দিতে হতো।
ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাস লেখকের অপছন্দ যদিও বিষয়টা তার খুবই প্রিয়। ক্লাসে না যাওয়ার কারন সিলেবাসে যেটা আছে সেটা পুরনো দিনের যা বর্তমানে ব্যবহৃত হয় না এজন্য তিসি ক্লাসে যান না। উপস্থিতি না থাকলে পরিক্ষা দিতে পারবে না তাই লেখক একজন প্রক্সি দাতা ঠিক করলেন, যে নিয়মিত প্রক্সি দেন। হঠাৎ প্রক্সিদাতা দেখলেন স্যার লেখকের রোলই ডাকছেন না। লেখককে যখন বললেন তখন লেখক তো শুনে আকাশ থেকে পড়লেন, কেন তার রোল ডাকেন না? তাঁর প্রক্সি দাতা বললেন বেশ কয়েকদিন মিস হয়ে গিয়েছিল,স্যার ভাবছেন তুমি আর ক্লাসেই যাবে না।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং ড. জাফর ইকবালের ডিগ্রি সমূহ
মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রাথমিক পাঠ শেষ করেন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল থেকে। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭২ সালে অনার্সে ভর্তি হন পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ ও ১৯৭৬ সালে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে স্কলারশিপের মাধ্যমে তিনি পিএইসডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। তাঁর বিষয় ছিল – ‘Parity violation in Hydrogen Atom’। পিএইচডি শেষ করার পর বিখ্যাত ক্যালটেক থেকে তার ডক্টরেট-উত্তর গবেষণা সম্পন্ন করেন।
মজাদার বিবাহিত জীবন
জাফর ইকবাল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারই সহপাঠী ইয়াসমিন হকের সাথে। ইয়েশিম ও নাবিল তাদের দুই সন্তান। তাদের পরিচয় এরই মধ্য উপরে দেয়া হয়েছে। লেখকের বিয়ে নিয়ে একটা মজার ঘটনা হলো-
লেখকের বাবা ভবিষ্যত বলার বিষয় নিয়ে খুব উৎসাহিত ছিলেন, তাই ম্যাগনিফাইং গ্লাস ও নানা রকম বই থাকতো বাড়িতে।যেহেতু বাড়িতে বই পত্র আছে তাই লেখকরা সকল ভাই বোন কম বেশি হাত দেখতে শিখে গেছেন। ভার্সিটি তে উঠতে উঠতে লেখকের খুব নামডাক হয়ে গিয়েছিল হাত দেখার জন্য।তাই তিনি প্রত্যেকের হাত দেখার জন্য এক প্যাকেট গোল্ড ফ্ল্যাক সিগারেট নির্ধারন করে দিয়েছিলেন।মোটা মুটি সবাই এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে এসে হাত দেখিয়েছিল। শুধু একটা মেয়েই বাকি ছিল যে কিনা ক্লাসে সবার থেকে আধুনিকা।সেও একদিন গোল্ড ফ্ল্যাক সিগারেট নিয়ে হাত দেখাতে চলে আসলো । লেখক তাকে বলেছিল, অনেক ধনীর সাথে তাঁর বিয়ে হবে।কিছুদিন পরেই লেখকের সঙ্গে তার (ইয়াসমিন হক)বিয়ে হয়।বিয়ের রাতে লেখকের সহধর্মিনী লেখকের শার্টের কলার ধরে বলেছিল,,,”আমার নাকি খুব বড় লোকের সাথে বিয়ে হবে?”বিয়ের খরচের জন্য লেখক তার সহধর্মিনীর থেকেই কিছু টাকা ধার করেছিলেন। এরপর থেকে লেখক আর হাত দেখেননি কারো।
লেখকের কর্মজীবন
ওয়াশিংটন বিশ্বিদ্যালয় থেকে পিএইসডি সম্পন্ন করার পর “ক্যালটেক “(পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট গবেষনা প্রতিষ্ঠানের একটি) থেকে পোস্টডক হিসেবে যোগদানের জন্য প্রস্তাব আসে। তিনি সাগ্রহে তা গ্রহন করেন এবং ক্যালটেকে পোস্টডক হিসেবে যোগ দেন।এর পর ১৯৮৮ সালে তিনি” বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ” এ পাঁচ বছর চাকরি করে ১৯৯৪ সালে দেশে আসেন এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ডে তিনি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। প্রত্যেক ছাত্রের কাছে তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক। শুধু সাস্টেই নয় বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর কাছে তিনি একজন পরিচিত মুখ।বর্তমানে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এবং তড়িৎ ইলেক্ট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
ড. জাফর ইকবালের উপর জঙ্গি হামলা
৩ মার্চ, ২০১৮ জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গি হামলা করা হয়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবটিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে, বিকাল ৫ টা ৪০ মিনিটে তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ফয়জুর রহমান নামে এক ছেলে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এর আগে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী তাঁকে হত্যার হুমকি দেয়। ২০১৩ সালে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধের মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাসির দাবিতে তিনি সোচ্চার ছিলেন। এই সময় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম তাঁকে নিয়ে হিট লিস্ট করে বলে শোনা যায়।
২০১৫ সালের ৩ মে তাঁকে আবার হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময়, কাফনের কাপড় পাঠিয়ে বা ফোনে হত্যার হুমকি দেয়া দেয়।
মুলত তাঁর লেখা ‘ভুতের বাচ্চা সোলায়মান’ প্রকাশিত হবার পর থেকেই বিভিন্ন ইসলামী গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধচারণ শুরু করেন। বইটি প্রথমে নাটক হিসেবে প্রচারিত হয় এনটিভিতে। তারপর ২০১৭ সালের, বইমেলায় নাটকের স্ক্রিপ্টটি বই আকারে প্রকাশিত হয়। ‘ভূতের বাচ্চা সোলায়মান’ একটি শিশুতোষ কল্পকাহিনী।
বইটির নাম নিয়েই আসল সমস্যা দেখা দেয়। একশ্রেনীর মতে, এখানে লেখক ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম ধর্মের নবী সোলায়মান (আঃ)কে ব্যঙ্গ করেছেন। অনেকে বইটি নিষিদ্ধের কথাও বলেন। যদিও বইটি নিছক বাচ্চাদের জন্য লিখিত গল্প।
সাহিত্যে অবদান । মুহম্মদ জাফর ইকবালের জীবনী সম্ভারে অনন্য দিক
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর প্রকৃতি আবির্ভুত হয় নতুন রুপে। সকল ধুলো ময়লা ধুয়ে চলে যায় সেই প্রানবন্ত জলে। জাফর ইকবালের জীবনী তে সাহিত্যকর্ম ঠিক তেমনি একটি প্রানবন্ত ধারা। আর তার সেই ধারা ভিজিয়ে দেয় তরুণ প্রজন্ম কে, নতুন ভাবে জীবনকে ভাবাতে শেখায়। আর তাই বছর বছর বই মেলাতে তরুন পাঠক গন তাঁর নতুন বই খোজে। লেখক ছাত্রজীবনেই লেখালেখি শুরু করেন। তার প্রথম শিশু সাহিত্য ‘কপোট্রনিক ভালবাসা‘ সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়। একজন পাঠক তার লেখার সামালোচনা করে পত্রিকায় চিঠি পাঠায় যে লেখক “আইভা” নামের রাশিয়ান সায়েন্স ফিকশন থেকে নকল করেছে।প্রতিবাদ স্বরুপ লেখক বেশ কিছু পর্বের কপোট্রনিক গল্প লিখেন। এই সিরিজের বই লিখে লেখক প্রচুর সমাদৃত হন। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম কপোট্রনিক সুখ দুঃখ বইটি পড়ে তাঁর অনেক প্রশংসা করেন। তাছাড়া আরো অনেকে তাঁর এই সিরিজের বই পড়তে আগ্রহ দেখায়। এমন যে, পাঠক লেখক কে প্রশ্ন করেছে এমন বই আরো আছে কিনা। সায়েন্স ফিকশনের পাশাপাশি তিনি কিশোর ঔপন্যাসিক হিসেবে সাফল্য অর্জন করেছেন। তাঁর বেশ কিছু কিশোর উপন্যাস চলচিত্রে রুপান্তরিত হয়েছে– দিপু নাম্বার টু, আমি তপু, আমার বন্ধু রাশেদ।
পুরস্কার ও সম্মাননা
সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ন অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি ১৯৬০ সাল থেকে পুরস্কার বিতরন করে আসছে। ২০০৪ সালে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য ছয় জনকে পুরস্কিত করে বাংলা একাডেমি। এর মধ্যে মুহ্মমদ জাফর ইকবাল সায়েন্স ফিকশনের জন্য পুরস্কিত হন।
তাছাড়াও তিনি বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেন। শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে ২০০৫ সালে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন।
২০০২ সালে কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক, খালেদা চৌধুরি সাহিত্য পদক, ২০০৩ সালেশেলটেক সাহিত্য পদক, ২০০৪ সালে ইউরো শিশুসাহিত্য পদকলাভ করেন।
এছাড়াও ২০০৫ সালে তিনি মোহা. মুদাব্বর-হুসনে আরা সাহিত্য পদক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা পদক, আমেরিকা এল্যাইমনি এ্যসোসিয়েশন পদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালাইমনি এ্যাসোসিয়েশন পদক লাভ করেন।
মুহম্মদ জাফর ইকবালের জীবনী এবং তাঁর অন্যবদ্য সৃষ্টিসমূহ
যেকোনো লেখক বেঁচে থাকেন তাঁর সৃষ্টির মাঝে, তাঁর সৃষ্টি করা চরিত্রের মাঝে। তেমনি ড জাফর ইকবাল বেঁচে আছেন এবং বেঁচে থাকবেন তাঁর রচিত উপন্যাস, ছোট গল্প, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, এবং শিশুতোষ সাহিত্যের মাঝে। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলোর তালিকা নীচে দেয়া হলো।
উপন্যাস | স্মৃতিচারণমূলক ও ভ্রমন | ছোট গল্প |
---|---|---|
আকাশ বাড়িয়ে দাও (১৯৮৭) | দেশের বাইরে দেশ-(১৯৯৭) | একজন দুর্বল মানুষ-(১৯৯২) |
বিবর্ণ তুষার (১৯৯৩) | আমেরিকা-(১৯৯৭ | ক্যাম্প |
দুঃস্বপ্নের দ্বিতীয় প্রহর (১৯৯৪) | সঙ্গি সাথী পশু পাখি-(১৯৯৩) | ছেলেমানুষী-(১৯৯৩) |
কাচসমুদ্র(১৯৯৯) | আধ ডজন স্কুল-(১৯৯৬) | নুরূল ও তার নোটবই-(১৯৯৬) |
সবুজ ভেলভেট (২০০৩) | তোমাদের প্রশ্ন আমার উত্তর-(২০০৪) | মধ্যরাত্রিতে তিন দূর্ভাগা তরুণ-(২০০৪) |
ক্যাম্প (২০০৪) | রঙিন চশমা-(২০০৭) | |
মহব্বত আলীর একদিন (২০০৬) | আরো প্রশ্ন আরো উত্তর-(২০১২) |
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী | কলাম সংকলন | কিশোর উপন্যাস |
---|---|---|
কপোট্রনিক সুখ দুঃখ (১৯৭৬) | দেশের বাইরে দেশ-(১৯৯৩) | হাতকাটা রবিন-(১৯৭৬) |
মহাকাশে মহাত্রাস (১৯৭৭) | সাদাসিধে কথা-(১৯৯৫) | দীপু নাম্বার টু (উপন্যাস) -(১৯৮৪ ) (চলচ্চিত্র রূপ , ১৯৯৬ ) |
ক্রুগো (১৯৮৮) | নিঃসঙ্গ বচন-(১৯৯৮) | দুষ্টু ছেলের দল-(১৯৮৬) |
ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম (১৯৮৮) | প্রিয় গগন ও অন্যান্য-(১৯৯৯) | আমার বন্ধু রাশেদ (১৯৯৪) (চলচ্চিত্র রূপ , ২০১১) |
বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার (১৯৯২) | হিমঘরে ঘুম ও অন্যান্য-(২০০০) | টি-রেক্সের সন্ধানে(১৯৯৪) |
ওমিক্রমিক রূপান্তর (১৯৯২) | পৃথিবীর সৌন্দর্য এবং আলফ্রেড সরেন-(২০০১) | স্কুলের নাম পথচারী(১৯৯৫) |
টুকুনজিল (১৯৯৩) | ২০৩০ সালের একদিন ও অন্যান্য-(২০০২) | জারুল চৌধুরীর মানিকজোড়(১৯৯৫) |
যারা বায়োবট (১৯৯৩) | দুঃস্বপ্নের রাত এবং দুর্ভাবনার দিন-(২০০৩) | রাজু ও আগুনালির ভুত(১৯৯৬) |
নি:সঙ্গ গ্রহচারী (১৯৯৪) | এখনো স্বপ্ন দেখায়-(২০০৪) | বকুলাপ্পু(১৯৯৭) |
ক্রোমিয়াম অরণ্য (১৯৯৫) | ক্রসফায়ার এবং অন্যান্য-(২০০৫) | বুবুনের বাবা(১৯৯৮) |
ত্রিনিটি রাশিমালা (১৯৯৫) | আরো একটি বিজয় চাই-(২০০৬) | বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর(১৯৯৮) |
নয় নয় শূন্য তিন (১৯৯৬) | ভবদহের গল্প এবং অন্যান্য-(২০০৭) | নিতু ও তার বন্ধুরা(১৯৯৯) |
অনুরণ গোলক (১৯৯৬) | বৈশাখের হাহাকার ও অন্যান্য-(২০০৮) | মেকু কাহিনী(২০০০) |
টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান (১৯৯৭) | স্বপ্নের দেশ ও অন্যান্য-(২০০৯) | শান্তা পরিবার(২০০২) |
পৃ (১৯৯৭) | ঢাকা নামের শহর ও অন্যান্য-(২০১০) | কাজলের দিনরাত্রি(২০০২) |
রবো নগরী (১৯৯৭) | এক টুকরো লাল সবুজ কাপড়-(২০১১) | কাবিল কোহকাফী(২০০৩) |
একজন অতিমানবী (১৯৯৮) | বদনখানি মলিন হলে-(২০১২) | দস্যি ক'জন(২০০৪) |
সিস্টেম এডিফাস (১৯৯৮) | রাজনীতি নিয়ে ভাবনা ও অন্যান্য-(২০১৩) | আমি তপু(২০০৫) |
মেতসিস (১৯৯৯) | একজন সাদাসিধে মা এবং অন্যান্য-(২০১৫) | লিটু বৃত্তান্ত(২০০৬) |
ইরন (২০০০) | যখনি জাগিবে তুমি-(২০১৬) | লাবু এল শহরে(২০০৭) |
জলজ (২০০০) | তারুণ্যের এপিঠ-ওপিঠ-(২০১৭) | বৃষ্টির ঠিকানা(২০০৭) |
ফোবিয়ানের যাত্রী (২০০১) | অনলাইন জীবন ও অন্যান্য-(২০১৮) | নাট বল্টু (২০০৮) |
প্রজেক্ট নেবুলা (২০০১) | মেয়েটির নাম নারীনা(২০০৯) | |
ত্রাতুলের জগৎ (২০০২) | রাশা (২০১০) | |
বেজি (২০০২) | আঁখি এবং আমরা ক'জন (২০১১) | |
শাহনাজ ও ক্যাপ্টেন ডাবলু (২০০৩) | দলের নাম ব্ল্যাক ড্রাগন (২০১১) | |
সায়রা সায়েন্টিস্ট (২০০৩) | রাতুলের রাত রাতুলের দিন (২০১২) | |
ফিনিক্স (২০০৩) | রূপ-রূপালী (২০১২) | |
সুহানের স্বপ্ন (২০০৪) | ইস্টিশন (২০১৩) | |
অবনীল (২০০৪) | গাব্বু (২০১৩) | |
নায়ীরা (২০০৫) | টুনটুনি ও ছোটচাচ্চু (২০১৪) | |
বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা (২০০৫) | গ্রামের নাম কাঁকনডুবি (২০১৪) | |
রুহান রুহান (২০০৬) | আরো টুনটুনি ও আরো ছোটাচ্চু (২০১৫) | |
জলমানব (২০০৭) | আবারো টুনটুনি ও আবারো ছোটাচ্চু (২০১৭) | |
অন্ধকারের গ্রহ (২০০৮) | তবুও টুনটুনি তবুও ছোটাচ্চু (২০১৮) | |
অক্টোপাসের চোখ (২০০৯) | সাইক্লোন(২০১৮) | |
ইকারাস (২০০৯) | ||
রবোনিশি (২০১০) | ||
প্রডিজি (২০১১) | ||
কেপলার টুটুবি (২০১২) | ||
ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা (২০১৩) | ||
এনিম্যান (২০১৪) | ||
এখন তখন মানিক রতন (২০১৪) | ||
সেরিনা (২০১৫) | ||
ক্রেনিয়াল (২০১৬) | ||
রিটিন (২০১৭) | ||
ত্রাতিনা (২০১৮) |
শিশুতোষ | বিজ্ঞান ও গনিত বিষয়ক | ভৌতিক সাহিত্য |
---|---|---|
বুগাবুগা-(২০০১) | দেখা আলো না দেখা রূপ (১৯৮৬) | প্রেত-(১৯৮৩) |
সাগরের যত খেলনা-(২০০২) | বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা (১৯৯৪) | পিশাচিনী-(১৯৯২) |
রতন-(২০০৮) | নিউরণে অনুরণন (২০০২) | নিশিকন্যা-(২০০৩) |
ঘাস ফড়িং-(২০০৮) | নিউরণে আবারো অনুরণন (২০০৩) | ছায়ালীন-(২০০৬) |
হাকাহাকি ডাকাডাকি-(২০০৮) | গনিত এবং আরও গণিত (২০০৩) | ও-(২০০৮) |
ভূতের বাচ্চা কটকটি-(২০১১) | আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড: প্রশ্ন ও উত্তর (২০০৪) | দানব-(২০০৯) |
বাপ্পার বন্ধু - (২০১৪) | একটু খানি বিজ্ঞান (২০০৭) | অন্যজীবন-(২০১৬) |
ইঁদুর এবং দুষ্ট হাতি - (২০১৬) | গণিতের মজা মজার গণিত (২০০৭) | |
ভূতের বাচ্চা সোলায়মান - (২০১৭) | থিওরি অফ রিলেটিভিটি (২০০৮) | |
বড় হবে ঝিলমিল-(২০১৮) | কোয়ান্টাম মেকানিক্স (২০০৯) | |
আরো একটু খানি বিজ্ঞান (২০১০) | ||
সহজ ক্যালকুলাস (২০১৭) | ||
বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েনস (২০১৮ |
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মানবের মন আলোকিত করে সাহিত্য জগতকে নতুন নতুন চিন্তাধারা দিয়ে শুশোভিত করছে এমনই একটি নাম। ড জাফর ইকবালের জীবনী বিষয়ক এই আর্টিকেলে হয়ত লেখকের জীবনের সব কিছু আনা সম্ভব হয় নি। যতদূর সম্ভব পাঠককে একটি ধারনা দেয়া হয়েছে। এই আর্টিকেল লিখার সময় সাহায্য নেয়া হয়েছে বিভিন্ন বাংলা ব্লগ, উইকিপিডিয়া এবং লেখকের রঙিন চশমা বই থেকে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
2 Comments
[…] […]
[…] https://attoprokash.com/ […]